শনিবার, ০১ এপ্রিল, ২০১৭, ০৯:১৫:২১

গাজীপুরে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, এসপিসহ আহত ১০

গাজীপুরে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, এসপিসহ আহত ১০

গাজীপুর: গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষসহ ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

এসময় গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

এঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১২ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন ও শিক্ষার্থীরা জানায়, শনিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রী নিবাস উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি সজীব হোসেন সবুজ ও তার সমর্থিত ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা কলেজ ছাত্রসংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেন।

মন্ত্রী তাদেরকে শিগগিরই ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার আশ্বাস দেন। দুপুরে তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার প্রাক্কালে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতির সমর্থকরা মন্ত্রীর গাড়ি অবরোধ করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি করে শ্লোগান দিতে থাকে।

এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে অপর অংশের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে দু'পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়।

একপর্যায়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ প্রহরায় মন্ত্রীর গাড়ি এলাকা ত্যাগ করে। পুলিশ সংঘর্ষকারীদের বাধা দিলে বিক্ষুব্ধরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

এসময় উত্তেজিত ছাত্ররা কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষের কার্যালয় ও শিক্ষক মিলনায়তন এবং ক্যাম্পাসে থাকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

এতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা আতংকিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। একপর্যায়ে কলেজ সংলগ্ন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সংঘর্ষে গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

একপর্যায়ে ছাত্রলীগ এক অংশের নেতাকর্মীরা চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ সেখান থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অনিক সরকারসহ ১২ জনকে আটক করে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দু'পক্ষের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, সরকারি কাজে বাধা ও মন্ত্রীর গাড়ি অবরোধের অভিযোগে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা থেকে ছাত্রলীগ কর্মী আনিসুজ্জামান অনিক সরকার, শেখ আশরাফুল, ইলিয়াস রুমন, লিয়াকত হোসেন, হাসান শাহরিয়ার সুমন, আবদুল আলী, ইয়াসিন হোসেন, আল ফাহাদ, রাফিজুল ইসলাম আবির, সোহেল রানা ও মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
০১ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে