শ্রীপুর (গাজীপুর) : গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- যুবলীগ নেতা নুরে আলম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জুলহাস উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক জাকির হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা রনিসহ ১০ জন। আহতদের মধ্যে নুরে আলমকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জুলহাস উদ্দিনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাওরাইদ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্ডল জানান, হারুণ ফকির, সেতু ফকির, সুলতান উদ্দিন, শওকত হোসেন ও মামুন মিয়াসহ তাদের ২৫-৩০ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাওরাইদ বাজারে মহড়া দেয়ার সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হারুনের নেতৃত্বে কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় তারা বাজারের চা দোকানী জাহিদ হোসেনের প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বড় ভাই সুলতান উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে।
পরে ছাত্রলীগ নেতা রনির সঙ্গে হামলাকারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেতু ফকির যুবলীগ নেতা নুরে আলমের মাথায় আঘাত করে। এতে বাধা দিতে গেলে তাদের হামলায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১০জন আহত হন। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দিলে তারা চলে যায়। এ ঘটনার পর বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের আগে সেতু ফকির রনিকে বাজারে আসতে নিষেধ করে। আজ দুপুরে রনিকে বাজারে দেখতে পেয়ে সেতু ফকির কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রনিসহ উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে ওসি জানান।