টঙ্গী : শুক্রবার রাতে টঙ্গী বাজার মাতবর বাড়ি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজ দলের প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম প্রিন্স মাহমুদ নাহিদ (২৫)। পিতার নাম জহুরুল ইসলাম।
নাহিদের বাড়ি টঙ্গীর বনমালা রেললাইনের পশ্চিম পাশে। নাহিদ স্থানীয় সিরাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছিল। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি নাহিদ উত্তরার আবদুল্লাহপুরে ‘বরিশাল স’ মিল’ এবং টঙ্গীর হোসেন মার্কেটের ‘তামান্না স’ মিল’ এর ব্যবসা পরিচালনা করতো।
নাহিদের বন্ধুরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নাহিদ তার বন্ধু মুন্নাকে সাথে নিয়ে নামাজ পড়ে যাবার পথে টঙ্গী বাজার এলাকায় একই রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের ১০/১২ জন ব্যক্তি দা-ছুরি নিয়ে অতর্কিতে নাহিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় ছোরার কয়েকটি আঘাত নাহিদের বুকে বিদ্ধ হয়। এ সময় নাহিদ হত্যাকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পথচারীদের সাহায্য চাইলে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। বরং দৌড়াদৌড়ি করে লোকজন পালাতে থাকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হলে ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা রাতে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নাহিদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, ক্রিকেট খেলার সময় তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। কাদাযুক্ত ক্রিকেট পথচারীর শরীরে গিয়ে লাগলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ প্রথমে তর্কাতর্কি ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের ছুরকাঘাতে নাহিত নিহত হয়।