গাজীপুর: রোজা মানেই সংযম। না খেয়ে থেকে ক্ষুধার্তদের জঠর জ্বালা অনুভব করা রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। তাই রমজানে বাহারি ইফতারের চেয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে ইফতার করা অনেক বেশি শ্রেয়। নিজেদের ইফতারের পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, নিকটজন, গরিব–মিসকিন, দরিদ্র–অসহায়দের ইফতারের বিষয়ে যত্নবান ও সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য রোজা তাই স্রষ্টার পক্ষ থেকে বান্দর জন বড় ধরনের নেয়ামত। তাই রোজাদারকে ইফতার করানোর মধ্যে সীমাহীন সওয়াবের কথা বলা হয়েছে হাদিসে। হজরত সালমান (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, এর দ্বারা তার গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
রোজাদারে মুখে তাই ইফতার তুলে দিতে অনেকে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। এটা সওয়াবের প্রাপ্তির জন্য করে থাকেন কেউ। কেউ আবার মানবিক টানে। শিল্প এলাকা গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় এক টাকায় হতদরিদ্র লোকজনের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দিচ্ছে ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।
এলাকার গরিব, অসহায়, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রথম রমজান থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেছে। শেষ রমজান পর্যন্ত চলবে বলে জানানিয়েছেন জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
মানবিক তাড়ণা থেকেই মাত্র এক টাকায় হতদরিদ্র লোকজনের হাতে ইফতার তুলে দিচ্ছে সংগঠনটি। জানালেন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানটির সংগঠক তাওসিফুল ইসলাম রিয়াদ। তিনি বলেন, যাদের হাতে প্রচুর অর্থ আছে । বা গরিব লোক না। তারা সারা দিন রোজা রাখার পর নানা ধরনের মুখরোচক খাবার নিয়ে ইফতার করেন। পাশেই অনেক রোজাদার টাকার অভাবে ইফতারে ভালো খেতে পারেনা। তাদের কথা চিন্তা করেই আমাদের এ উদ্যোগ।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কিশোর শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গড়ে তুলা হয়েছে ইয়ুথ স্কয়ার। এই সংগঠনটি থেকেই এমন মহতি উদ্যোগ চালাচ্ছেন এলাকার তরুণরা।সমকাল