গাজীপুর থেকে : রাস্তায় স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করে একে-অন্যকে 'ছেলেধ'রা' বলে গণধো'লাই খেয়েছেন উভয়ে। এ সময় গণধো'লাই থেকে রেহাই পাননি তাদের সঙ্গে থাকা স্বামীর বন্ধুও।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিকশায় উঠেছেন স্বামী-স্ত্রী। তাদের সঙ্গে ছিলেন স্বামীর এক বন্ধু। তিনজনকে নিয়ে যখন রিকশাটি চলছিল তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে তা হাতাহা'তিতে রূপ নেয়।
তাদের ঝগড়ার বিষয় হলো দ্বিতীয় বিয়ে। স্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন, তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। স্বামী অস্বীকার করছিলেন বিষয়টি। এ নিয়ে রিকশায় বসে ঝগড়া করেন স্বামী-স্ত্রী।
বার বার চেষ্টা করেও তাদের ঝগড়া থামাতে পারেননি স্বামীর বন্ধু। এ অবস্থায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে রিকশা থেকে লাফ দিয়ে নেমে ‘ছেলেধৎরা-ছেলেধৎরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন স্ত্রী।
স্বামীও তখন স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে পাল্টা ‘ছেলেধৎরা-ছেলেধৎরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা লোকজন দৌড়ে আসেন।
সেই সঙ্গে কিছু লোকজন স্বামী এবং কিছু লোকজন স্ত্রীকে উত্তমম'ধ্যম দেওয়া শুরু করেন। এ সময় মা'রধর থেকে বাদ পড়েননি রিকশায় থাকা স্বামীর বন্ধুও। গণধো'লাইয়ের একপর্যায়ে পালিয়ে যান দুই পুরুষ। তবে ওই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানা পুলিশের এসআই আমিনুল হক বলেন, শ্রীপুরের বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিনের মেয়ে তানিয়া। তানিয়ার স্বামীর সঙ্গে কথাকাটা'কাটির সময় ‘ছেলেধ'রা’ সন্দেহে দুজনকে পিটি'য়ে আ'হত করে এলাকাবাসী।
বার বার ওই নারী আমি ‘ছেলেধ'রা’ না বললেও ছাড়েনি জনতা। পরে তাকে পুলিশে তুলে দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে উদ্ধা'র করলেও তার স্বামী ও বন্ধু পালিয়ে যায়।