রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪০:১৫

জোহরা তাজউদ্দীনের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

 জোহরা তাজউদ্দীনের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

এফ এম কামাল হোসেন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক গাজীপুরের কাপাসিয়ার কৃতি সন্তান বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের সহধর্মীনী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়ামের সাবেক সিনিয়র সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী ২০ ডিসেম্বর রোববার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে স্মরণ সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে রোববার বিকালে শহরের আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম খালেদ খুররমের বাস ভবন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন মোল্লা। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের পরচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কবির মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. ফজলুল কাদের, মাজহারুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাড. রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, আইন উদ্দিন, অধ্যক্ষ ছানাউল্লাহ, আসাদুজ্জামান আসাদ, আব্দুল হালিম খোকন, মোঃ রুহুল আমীন, মাহবুব উদ্দিন সেলিম, সাখাওয়াত হোসেন, মাহবুব খান, রাজিব ঘোষ, হিমেল খান প্রমূখ। উল্লেখ, সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন বলিষ্ঠ সংগঠক হিসাবেও তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগাওে বন্দী থাকা অবস্থায় ৪ জাতীয় নেতাকে হত্যার পর দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি এবং চরম দুর্দিনে তিনি বাংলাদেশেআওয়ামীলীগের হাল ধরেন। ১৯৭৭ সালে দলের আহবায়ক নির্বাচিত হয়ে তিনি দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেন। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি স্বপরিবাওে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেন। সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এক অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করেন। তার রাজনৈতিক পরিপক্কতা, বিদগ্ধতা, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে সুস্থ্য গণতান্ত্রিক ধারার বিষয়ে বিপুল জনগোষ্ঠীকে উজ্জিবিত করেছিল অতি সহজেই। সমাজ এবং মানুষের প্রতি কর্তব্য পালনের পথ ধরেই উদীয়মান তরুন নেতা তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাঁদের তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন তাঁর স্বামীর আদর্শ এবং রাজনৈতিক বিশ্বাসের সংঙ্গে নিজ অন্তরের ভালবাসা এবং দেশপ্রেমকে সঙ্গী করে আমৃত্যু দলের জন্য, দেশের জন্য, জনগনের জন্য কাজ করে গেছেন। ২০ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে