মুহাম্মদ মুনির হাসান, ডুয়েট থেকে: ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় “(ডুয়েট)"এর একদল তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি করা রোবট খুব শীঘ্রই যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুন গবেষক দল বেশ কিছুদিন গবেষণা করে তারা তৈরি করেছে বিডি মার্সিয়ান-১ নামের একটি রোবট। যা মঙ্গল গ্রহের পরিবেশে চলতে সক্ষম।
গত ৪ঠা মার্চ UKURC-2016 প্রতিযোগিতার জন্য তারা এর ভিডিও এবং পেপারস সাবমিট করে এবং যুক্তরাজ্যে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়। এ প্রতিযোগিতা আগামী ২২শে জুলাই যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টার সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে রেজিষ্টেশন করার পর কিছুটা হতাশ হলেও পরে আশার দেখা মিলে রোবট প্রেমীদের। কারণ এ রোবটটি তৈরি করতে প্রায় দুইলক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল যা টিম মেম্বারদের পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান। তিনি এই রোবট প্রেমীদের উৎসাহ দেখে সাথে সাথে দেড় লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়া ইনোভা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিও কিছুটা আর্থিক সহায়তা করে। “ডুয়েট টাইমআউট” এর টিম লিডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ই.ই.ই. চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রুপায়ন হালদার। তার সার্বিক তত্বাবধানে টিম মেম্বারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তারা বিডি মার্সিয়ান-১ নামের এই রোবটটি তৈরিতে সক্ষম হয়। এ রোবটটি একটি রিয়েল টাইম রোবট যা মঙ্গল গ্রহে গিয়ে গবেষণা করতে সক্ষম। এটি মঙ্গলের উঁচু নিচু পথে চলা সহ মঙ্গলের মাটি সংগ্রহ করে তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন- মাটির আদ্রতা, তাপমাত্রা ও PH ইত্যাদি নভোচারীর কাছে পাঠাতে পারবে। তাছাড়া বিভিন্ন টুলস সংগ্রহ করেও নভোচারীর কাছে পাঠাতে পারবে এটি। এ দলে রুপায়নের সাথে অন্যান্য যারা ছিলেন তারা হলেন ই.ই.ই. চতুর্থ বর্ষে ছাত্র মুসলিম উদ্দিন ও পলাশ চন্দ্র মন্ডল, এম.ই চতুর্থ বর্ষের ছাত্র পরিতোষ কুমার ও ই.ই.ই. তৃতীয় বর্ষের রাসেল রানা।
এছাড়াও ই.ই.ই. দ্বিতীয় বর্ষের দানিয়েল ইসলাম, মিঠুন চন্দ্র দাস, পূজন পারিয়েল, বাশার, শুভ ও শফিক। “ডুয়েট টাইমআউট” এর টিম লিডার রুপায়ন হালদার বলেন, ক্যাম্পাসে রোবটিক্স গবেষণার প্রধান অন্তরায় অর্থনৈতিক সমস্যা। যদি ভালো স্পন্সর পাওয়া যায় তবে শিক্ষার্থীদের মাঝে রোবটিক গবেষণা আরো সম্প্রসারণ করা সম্ভব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান কে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্যার না থাকলে হয়তো আমাদের এই রোবটটি তৈরি সম্ভব হত না। তিনি স্যারের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে আরো সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে “ডুয়েট টাইমআউট”।
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস