শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:২৭:১৫

গাজীপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আ.লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আ.লীগ নেতার মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আলম,গাজীপুর থেকে: গাজীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিটি কর্পোরেশনের ৩৬নং ওয়ার্ডের গাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষে বাধে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে  মোঃ শাহজাহান (৪২) নামে আওয়ামীলীগের এক নেতাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও মারধরে খুন করেছে প্রতিপক্ষরা। শাহজাহান গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে এবং শাহজাহান গাজীপুরের সাবেক গাছা ইউপি’র ১নং ওয়ার্ড (সিটি কর্পোরেশনের ৩৬নং ওয়ার্ড) আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি।

নিহতের ভাই আফাজ উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানায়,আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন আগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজারের গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল মন্ডল ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শফিকুল ইসলাম শফিকের লোকজন স্থানীয় গাছা বাজারের একটি দোকানের সামনে পেয়ে প্রতিপক্ষের রমজানকে মারধর করে। রমজান বাড়িতে গিয়ে তার মামা শাহজাহানকে ঘটনাটি জানায়। পরে শাহজাহান তার আহত ভাগ্নে রমজানকে নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে তারা গাছা বঙ্গবন্ধু কলেজ মোড়ে পৌছলে শফিকুল ইসলাম শফিক, মজিবুর, মোহাম্মদ আলী, আল-আমীন জুয়েলসহ প্রতিপক্ষের ২০-২৫ জন সশস্ত্র লোক মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে এবং শাহজাহানকে টেনে হিছড়ে গাড়ি থেকে থেকে নামায়। এসময় তারা শাহজাহানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপায় এবং লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা আহত শাহজাহানকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। আহত শাহজাহান প্রায় আধা ঘন্টা ধরে ওই স্থানে পড়ে ছিল। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে ঢাকার উত্তরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে (রিজেন্ট হাসপাতাল) নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান মারা যায়। শনিবার দুপুরে নিহত শাহজাহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী জয়দেবপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের মাথা, হাত, পা, বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও ভাঙ্গা রয়েছে।

এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
৩০ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে