মনোজ সাহা, গোপালগঞ্জ থেকে : ‘আমার ছেলে কী ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে তা জানি না। কিন্তু আমার সামনে সে কখনও খারাপ কাজ করেনি। সে সরকারের কাছে অপরাধী হতে পারে, আমার কাছে নয়। সরকার তাকে যে শাস্তি দেবে তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের নিরপরাধ মানুষগুলোকে যেন হয়রানি করা না হয়।’
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে গোপালগঞ্জ জেলার টালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামে মুফতি হান্নানের বাড়িতে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান মুন্সির মা রাবেয়া বেগম।
একই বাড়িতে মুফতি হান্নানের স্ত্রী রুমা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি তার স্বামীর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, তার ৪ সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। ২ মেয়ে নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তারা গ্রামের মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। বড় ছেলে যশোর কলেজের ছাত্র। ছোট ছেলে ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে হিরণ গ্রামের শহিদুল ইসলাম মুন্সি সদর আলী বলেন, ‘মুফতি হান্নানের জঙ্গি তৎপরতার কারণে আমাদের হিরণ গ্রাম কলঙ্কিত হয়েছে। তার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করা হলে আমরা কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবো। পাশাপাশি প্রশাসনও আমাদের প্রতি সুদৃষ্টি দেবেন।’
মুফতি হান্নানের সহপাঠী চায়ের দোকানি হিরণ গ্রামের আবুল বাশার বলেন, ‘মুফতি হান্নান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে কোটালীপাড়ার জনসভাস্থলে দুটি বোমা পুঁতেছিল। এছাড়া সে একের পর এক জঙ্গি তৎপরতা চালিয়েছে। তার মৃত্যুদণ্ড দেখে যেন বিপথগামীরা এ পথ থেকে সরে আসে।’ বাংলা ট্রিবিউন
২১ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস