গোপালগঞ্জ থেকে : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দু'দল গ্রামবাসীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে আজর ফকির (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহ'ত হয়েছেন। এছাড়া ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহ'ত হয়েছে। পরে পুলিশ শর্টগানের গু'লি ছুঁড়ে পরি'স্থিতি নিয়'ন্ত্রণে আনে। সোমবার সকাল ১০টায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই ঘন্টা ধ'রে এ সংঘ'র্ষ চলে।
সং'ঘর্ষে নিহ'ত আজর ফকির ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃ'ত হামেদ ফকিরের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে বনগ্রাম মধ্যপাড়ায় বিলের মধ্যে এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জুয়ার আসর বসিয়েছে। সেখানে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়া খেলতে লোকজন আসতো বলে অভিযো'গ রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকার জুয়া'ড়ীদের মধ্যে হা'তাহা'তি ও মা'রপি'টের ঘটনা ঘটে।
এরই জে'র ধ'রে সোমবার বনগ্রাম মধ্যপাড়া ও পূর্বপাড়ার লোকজন একত্রিত হয়ে দেশীয় অ'স্ত্র, ঢাল, সড়কি নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সংবাদ পেয়ে পশ্চিমপাড়ার ফিরোজ ফকিরের নেতৃত্বে ওই এলাকার লোকজন পা'ল্টা জবার দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এরই এক পর্যায়ে এই দু'দল গ্রামবাসী বনগ্রাম বিলে মুখো'মুখি সং'ঘর্ষে লি'প্ত হয়। এ সময় আজর ফকির (৫০) নিহ'ত হন।
সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সালাহউদ্দিন আহমেদ, পশ্চিমপাড়ার নতুন ফকির, আরিফ সিকদার, রাব্বী মোল্লাসহ ২৫ জন আহ'ত হয়েছে। আহ'তদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ১০ রাউন্ড শ'র্টগা'নের গু'লি ছুঁ'ড়ে পরি'স্থিতি নিজেদের নিয়'ন্ত্রণে নিয়ে আসামিদের ধ'রতে এলাকায় অ'ভিযা'ন চালায়।
লা'শ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ম'র্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান খান বলেছেন, সং'ঘ'র্ষের সংবাদ পেয়েই পুলিশ পাঠিয়ে শ'র্টগানের গু'লি ছুঁড়ে পরি'স্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আ'সামিদের গ্রে'ফতারে এলাকায় অ'ভিযা'ন চলছে।