সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৬:২৬:০৯

প্রেমের টানে সুদূর জার্মান থেকে গোপালগঞ্জে ছুটে এলেন তরুণী

প্রেমের টানে সুদূর জার্মান থেকে গোপালগঞ্জে ছুটে এলেন তরুণী

গোপালগঞ্জ : মাঝে মধ্যেই প্রেমের টানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসছেন তরুণ-তরুণীরা। এমনকি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন তারা। এবার প্রেমের টানে সুদূর জার্মানি থেকে গোপালগঞ্জে প্রেমিকের কাছে ছুটে এসেছেন এক তরুণী। গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় । 

জার্মানির ওই তরুণীর নাম জেনিফার স্ট্রায়াস। তিনি জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটের বাসিন্দা জোসেফ স্ট্রায়াস ও এসাবেলা স্ট্রয়াস দম্পতির একমাত্র মেয়ে। তার প্রেমিক গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুড়ো গ্রামের বাসিন্দা রবিউল  ইসলাম ও ঝর্ণা বেগম দম্পতির ছেলে চয়ন ইসলাম। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাবা প্রবাসী হওয়ার সুবাদে ছয় বছর আগে ইতালি যান চয়ন। কিছু দিন পর সেখান থেকে তিনি চলে যান জার্মানিতে। পাঁচ বছর আগে সেখানে একটি ভাষার কোর্সে ভর্তি হলে জেনিফারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আর সেই পরিচয় থেকেই শুরু হয় তাদের প্রেম। দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর ২০২২ সালের ১০ মার্চ চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তাতে জেনিফার ও চয়নের সম্পর্কে ফাটল ধরেনি। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার ছুটে এসেছেন প্রেমিক চয়নের কাছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন প্রেমিকা জেনিফার। সেখানে চয়ন ও তার স্বজনরা তাকে স্বাগত জানান। রাতেই তারা জেনিফারকে সঙ্গে  নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসেন। পরে গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। 

এদিকে বাবা জোসেফ ট্রায়াস মেয়ে জেনিফারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কিছু দিন পর জেনিফার বাবা বাংলাদেশ আসবেন এবং ধুমধাম করে  মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে জানা গেছে। 

চয়ন ইসলাম বলেন, আসলেই আমি খুব ভাগ্যবান জেনিফারকে পেয়ে। সে আমার জন্য এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমাকে বিয়ে করেছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন সারাজীবন একসঙ্গে কাটাতে পারি। 

জেনিফারের কথা হলে তিনি  বলেন, বাংলাদেশে এসে খুশি হয়েছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথেয়তা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। সবাইকে নিয়ে মিলে মিশে চলতে পেরে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। 

চয়নের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, বিদেশি পুত্রবধূ পেয়ে আমরা সবাই খুবই  খুশি। সে এই  অল্প সময়েই আমাদের সবাইকে খুব আপন করে নিয়েছে। ভাবতেও পারিনি সে আমাদের সঙ্গে এতো সহজে মিশে যেতে পারবে। আমার বিয়াই এলে ধুমধাম করে বিয়ের আনুষ্ঠানিতা শেষ করব। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে