গোপালগঞ্জ : অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। পিতার কবর জেয়ারাতের সময় কোন সন্তান কি আর ঠিক থাকতে পারে? তবে নিজের জন্মদাতা পিতা নয়, অন্য পিতার জন্য কাঁদলেন এই বীর উত্তম। পিতা-পুত্রের এই টান রক্তের নয়, আত্মার। এর পেছনে রয়েছে স্পর্শকাতর অনেক স্মৃতি, আদর্শিক সম্পর্ক, লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়ে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান কাদের সিদ্দিকী। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে গিয়ে কান্না আর ধরে রাখতে পারলেন না পুত্র বঙ্গবীর।
'৭৫-এ পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন তার বীর সন্তান কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান। দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরে নিজের হাতে এ সমাধি পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। বানিয়েছিলেন কবরে যাওয়ার রাস্তাও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরের পর কাদের সিদ্দিকী টুঙ্গিপাড়ায় যান। গাড়ি থেকে নেমেই শেখ বাড়ি মসজিদে নামাজ পড়েন। এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরের যে পাশে পা, সেখানে গিয়ে বসেন। অঝোরে কাঁদেন। অনেকক্ষণ নিশ্চুপ থেকে, মোনাজাত করে সোজা চলেন আসেন ঢাকা।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব উন নবী সোহেল, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নিয়ন সিদ্দিকী প্রমুখ।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত শেষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ''যখনই মানসিক শান্তি প্রয়োজন হয়, চলে আসি বঙ্গবন্ধুর মাজারে।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ''মহামান্য হাইকোর্ট রায়ে আমাদের নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালে যেতে বলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল তো নির্বাচনের পরে, আর আমাদের মামলা তো নির্বাচনের আগে। তাই আমরা ভেবে দেখছি কী করা যায়।''
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস