এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গোপালগঞ্জ জেলায় ৯টি রবি ফসলে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৬০ জন কৃষক।
প্রণোদনার বীজ-সার পেয়ে জেলার ৫ উপজেলার কৃষক গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ফসলের চাষাবাদ শুরু করেছেন। প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে কৃষকরা ১৩ হাজার ৬৬০ বিঘা জমিতে ৯টি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন।
এরমেধ্য ৩ হাজার বিঘা জমিতে গম, ৬ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে সরিষা, ৭৪০ বিঘা জমিতে ভুট্টা, ৫৬০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী, ৬৮০ বিঘা জমিতে চিনাবাদাম, ৯৬০ বিঘা জমিতে মুগ, ৫০০ বিঘা জমিতে খেসারি, ৫২০ বিঘা জমিতে শীতকালীন পেঁয়াজ, ৫০০ বিঘা জমিতে মসুর আবাদ হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আ. কাদের সরদার বলেন, ৬০ হাজার কেজি গম বীজ, ৬ হাজার ২০০ কেজি সরিষা বীজ, ১ হাজার ৪০০ কেজি ভুট্টা বীজ, ৫৬০ কেজি সূর্যমুখী বীজ, ৬ হাজার ৮০০ কেজি চিনাবাদাম বীজ, ৪ হাজার ৮০০ কেজি মুগ বীজ, ৪ হাজার কেজি খেসারি বীজ, ৫২০ কেজি শীতকালীন পেঁয়াজ ও ৫০০ কেজি মসুর বীজ বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায়।
সেই সাথে ১ লাখ ৪৪ হাজার কেজি ডিএপি ও ১ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসগুলো কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে। সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভা শেষে উপজেলায় পর্যায়ে এসব সার-বীজ বিতরণ করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের কৃষক শামসুল আলম বলেন, প্রণোদনার বীজ-সার পেয়েছি। এ বীজ সার দিয়ে আমি ১ বিঘা জমিতে শীতকালীন পেঁয়াজ আবাদ করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, ক্ষেত থেকে আমন ধান কাটা শেষ পের্যায়ে রয়েছে। কৃষক এখন কোন-কোন মাঠে রবি শস্য আবাদ শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যে কৃষকের মাঝে প্রণোদনার গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ফসলের বীজ-সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ হাজার ২০০ জন কৃষক ৯টি ফসলে প্রণোদনার বীজ-সার পেয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বীজ-সার বরাদ্দ দিয়েছে।
ইতিমধ্যে আমরা বীজ-সার বিতরণ সম্পন্ন করেছি। সরকারি বিধিমালা আনুযায়ী প্রান্তিক কৃষকদের হাতে প্রণোদনার বীজ-সার দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।