গোপালগঞ্জ : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গোপালগঞ্জের দাখিল পরীক্ষার্থী মায়ের (৪৬) জায়গায় মেয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া ওই পরীক্ষার্থী ১৩ বছর বয়সের সুমাইয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাশপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী মা খাদিজা বেগম গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া আলিম মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। গত তিন বিষয়ে পরীক্ষায় তিনি মেয়েকে দিয়েই দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আতিয়ার রাসুল হিমেল।
তিনি জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় আমার কেন্দ্র হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র পড়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষে এক পরীক্ষার্থীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় তাঁর প্রবেশ পত্র দেখতে চাইলে সে সাদাকালো একটি প্রবেশ পত্র দেখায়। পরে ছবির সাথে তাঁর চেহারার অমিল থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এসময় আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। এসময় সে জানায় গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী খাদিজা খানমের স্থলে তাঁর মেয়ে সুমাইয়া খানম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। এ সময় টাকা পরিশোধ করে অভিভাবকেরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা বড় ধরনের অপরাধ। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ওই শিক্ষার্থীকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কারসহ তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী খাদিজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষায় মেয়েকে দিয়ে দেওয়ানো ভুল হয়েছে। তবে এই বয়সে মনের ইচ্ছা মেটাতেই তাঁর পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা হয়।