এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল পিপি) অ্যাডভোকেট রনজিৎ কুমার বাড়ৈ গামা (৭০) নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলা শহরের মান্দারতলা এলাকায় নিজের প্রতিষ্ঠিত নির্মাণাধীন শেখ ফজলুল করিম সেলিম ল’ কলেজ থেকে বাসায় ফেরার জন্য বিকেল ৫টার দিকে ওই স্থানের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে আসেন রনজিৎ। এ সময় এক মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়।
মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার সদরের কাছে তার মৃত্যু হয়।
গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল হাশেম মজুমদার এই আওয়ামী লীগ নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট রনজিৎ কুমার বাড়ৈ গোপালগঞ্জ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন।
রনজিৎ কুমার গামা জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার রূপাহাটি গ্রামের মৃত কালীপদ বাড়ৈ’র ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের পূর্বথানাপাড়া এলাকার বাড়িতে বসবাস করতেন।
তার মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা আইনজীবী সমিতি ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার একটু আগে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে পথিমধ্যে কাশিয়ানী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, রাতে লাশ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। যেহেতু দুর্ঘটনাটি মহাসড়কে সেক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আজ শনিবার ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি ঘাতকদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।