গোপালগঞ্জ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। তার কারণেই দেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যারা একবেলা পেট ভরে খেতে পারেন না তাদের জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। গরিবের প্রতি যে ভালোবাসা, মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা তা ছোটবেলা থেকেই ছিল বঙ্গবন্ধুর।’
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে টুঙ্গীপাড়ায় শিশু কিশোর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে বারবার জেলে যেতে হয়েছে। লক্ষ্য থেকে তিনি সামনে এগিয়ে গেছেন। ছোটবেলা থেকে তার মাঝে তা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি গায়ের চাদর অন্যদের দিয়ে দিতেন। বই দিয়ে দিতেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যে অশুভ শক্তি ৭১-এ পরাজিত হয়েছিল, তারাই সপরিবারে জাতির জনককে হত্যা করে। এখন যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সহযোগীদের কথায় কেউ বিভ্রান্ত হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, আর কোন শিশুই রাসেলের মতো নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে না। কোন শিশুই না খেয়ে দিন রাত কাটবে না। নিরক্ষর থাকবে না। শিশুরা নিরাপদ ও সুন্দর জীবন পাবে। তাদেরকে আদর স্নেহ দিয়ে বড় করুন। বড় হয়ে যেন তারা সত্যিকার দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই শিশু সমাবেশে শিশু রাফিয়া তুর জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, শিশু ঋতিক জিদান প্রমুখ।
এরপর গোপালগঞ্জ শিশু একাডেমীর শিশু শিল্পীরা “চির ভাস্মর বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক কাব্য নৃত্য গীতি আলেখ্য পরিবেশন করে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যগণ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, উর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও দর্শক এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জাতীয় গ্রস্থ কেন্দ্র আয়োজিত দিনব্যাপী গ্রন্থ মেলার উদ্বোধন করেন। বিতরণ করেন সেলাই মেশিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে আসেন।
১৭ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস