সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬, ১০:২২:০৪

পুলিশ প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে দৌড়ে রাস্তায় যান সুমি, তারপর যা ঘটল

পুলিশ প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে দৌড়ে রাস্তায় যান সুমি, তারপর যা ঘটল

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে প্রেমিক পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক কলেজছাত্রীর। রোববার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কারারগাতি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম সাবিনা ইয়াসমিন সুমি (২০)। তিনি বোয়ালমারী কলেজের স্নাতকের (অনার্স) ছাত্রী ও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মো. হাবিবুর মিয়ার মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুমির কথিত প্রেমিক পুলিশ সদস্য তুহিনের (কনস্টেবল নং-৫৬০) সঙ্গে সুমির কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমি রাস্তার দিকে দৌড় দেন। ঠিক ওই সময় দ্রুতগ্রামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুমি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তুহিনের দুই সঙ্গী মানব (কনস্টেবল নং-৬৩২) ও মামুন (কনস্টেবল নং-৫৯৭)। ঘটনার পরপর এলাকার লোকজন ওই তিন জনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশ জানায়, আটককৃতরা গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল। গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

সুমির বড় বোন খুরশিদা বেগম জানান, তুহিন নামে ওই পুলিশের সঙ্গে তার বোনের বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তাকে বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের কথা বলে ঘোরাচ্ছিল তুহিন। সকালের দিকে সে বাড়ি থেকে গোপালগঞ্জে যায়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা তারা তদন্ত করে দেখছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিন কনস্টেবলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম এমরান হোসেন জানান, পুলিশ কনস্টেবল তুহিনের সঙ্গে নিহত মেয়েটির সম্পর্ক ছিল বলে তিনি শুনেছেন। বাকি দুজন কেন সেখানে উপস্থিত ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মেয়েটির বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১১ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে