ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনের জন্য বান্দারা প্রথমত ফরয ইবাদতগুলো কায়েম করে থাকেন। তবে ইসলামে ফরয বিধানের পাশাপাশি নফল বিধানও রয়েছে। নফল বিধানকে মুস্তাহাবও বলা হয়ে থাকে। নফল বিধানের হুকুম হচ্ছে এ কাজ বান্দা না করলে কোনো ধরণের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে না। বান্দা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন। তবে আল্লাহ তায়ালার নিকট নফল কাজ খুবই প্রিয়।
ইবাদত মূলত দুই প্রকার। ফরজ ইবাদত, যেমন- নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদি। নফল ইবাদত, যেমন- নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দান-খয়রাত, নফল রোজা রাখা ইত্যাদি।
নফল আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয়। বান্দার নফল কাজকে আল্লাহ তায়ালা খুবই পছন্দ করেন। নফল ইবাদতের প্রতিদান প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা যেকোনো নেক আমলই করবে, আমার কাছে তার ১০ গুণ সাওয়াব প্রস্তুত আছে।’ (হাদিসে কুদসি)।
তবে এ সকল নফল কাজও কখনো কখনো ফরয হয়ে যায়। তখন বান্দার ওপর ফরযের বিধান প্রযোজ্য হবে। তা ছেড়ে দিলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। যেমন কোনো ব্যক্তি নফল নামাজের নিয়ত করে নামাজে দাঁড়িয়ে তা ভেঙ্গে ফেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ ভেঙ্গে যায়। তাহলে তার ওপর ওই নামাজটা পুনরায় আদায় ফরয হয়ে যায়। তদ্রুপ নফল রোজার নিয়ত করে রোজা রেখে ভেঙ্গে ফেললে তাও পালন করা ফরয হয়ে যায়। কোনো কিছু মান্নত করলেও তা পালন করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ও ফরযের বিধান কাছাকাছি। তাছাড়া হজ করা সকলের ওপর ফরয নয়। কিন্তু কোনো নফল হজ আদায়কারী ব্যক্তি হজ করতে গেলে তার ওপর হজের ফরয বিধানাবলী পালন করা ফরয হয়ে যায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেকের মাঝ থেকেই অলসতা প্রকাশ পায়। এ ধরণের আমলের প্রতি সতর্ক থাকা প্রতিটি মুসলমানেরই কর্তব্য।
৩০ জুলাই,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর