সাঈয়েদা হাবিবা : দৃষ্টিভ'ঙ্গি পরিবর্তন করে করোনা ভাইরাসের প্রতির'ক্ষা উপকরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সরকারি অফিসগুলো মাস্ক ব্যবহার করছে। এই পরি'স্থিতি অনেকের জন্যই নতুন। বিশেষ করে যারা ভাবত মুখ ঢেকে রাখলে কিভাবে প্রতিবেশীরা চিনবে আর তাদের মুখের অভিব্যক্তিই বা কিভাবে বুঝবে।
আমেরিকার বেশিরভাগ পত্রিকায় খবর প্রকাশ করা হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক মানুষ তাদের মুখ ঢাকতে অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার করছে। যদিও পশ্চিমা বিশ্বে নেকাব ব্যবহার করার কারণে বৈ'রী আচরণের শি'কার হন মুসলিম নারীরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ জন ব্রিটিশ ও আমেরিকান নেকাব পরিধানকারী নারীর ওপর গবেষণা করা হয়। এর মধ্যে ছিলেন খ্রিস্টান, ইহুদি, নাস্তিক, কালো, সাদা, আমেরিকান ও আফ্রিকান, আরব এবং এশিয়ান। এ সব নারীরা বলেন, তারা নেকাব ব্যবহার করে এক স্বর্গীয় শান্তি উপভোগ করে। আর এই অনুভূতি তাদেরকে স্রষ্টার কাছাকাছি নিয়ে যায়।
অবশ্য অনুভবের বিষয়টি তাদের ইসলাম চর্চার ওপর। কিন্তু তাদেরকে প্রায়ই এই নেকাবের কারণে ধর্মবি'দ্বেষ এমনকি রাস্তায় যৌ'ন নি'র্যাতনের শি'কারও হতে হয়। এই গবেষণা নি'শ্চিত করে যে, অমুসলিম দেশগুলোতে মুসলিম নারীরা ইসলামী পোশাক পরার কারণে নির্যা'তনের শি'কার হয়। অনেক সময় এই পোশাক পরিধা'নকারীকে অসহায়, সেকেলে ভাবা হয় ও ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হয়।
এমনকি বিমানবন্দরগুলোতেও নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হঠাৎ করে যেন সবাই বুঝতে পারছে! এখন এক অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন সবার মাঝে। মানুষ জগিং বা শপিংয়ে যেতেও মুখ ঢাকছে বা মাস্ক ব্যবহার করছে। মুসলিম নারীরা বলছেন, এই করোনা পরি'স্থিতি তাদের সাধারণ জীবন-যাপনকে অনেক সহজ করেছে। কেউ আর তাদের দিকে অ'দ্ভূ'তভাবে তাকাচ্ছে না।
ফ্রান্সের জামিলা বলছেন, ফ্রান্সের মতো দেশ যেখানে জনসাধারণের চলাচলের জায়গাগুলোতে নেকাব নি'ষি'দ্ধ সেখানে এখন সবাই মুখ ঢেকেই চলাচল করছে। ফ্যাশন ডিজাইনাররাও চেহারা ঢাকার এই উপকরণটি আরও আধুনিক করার চেষ্টায় ব্যস্ত। এখন নিজেদের নিরা'পত্তার স্বার্থে সবাই তার দৃ'ষ্টিভ'ঙ্গী পরিবর্তন করে নেকাব সদৃশ মাস্ক ব্যবহার করছে।
কেউ প্রশ্ন তুলছে না, নিরা'পত্তা কিংবা মুখের অভিব্যক্তি না বোঝার। করোনা ভাইরাস যেন সবাইকে শিখিয়ে দিচ্ছে নেকাব শুধু ধর্মীয় চি'হ্নই নয় বরং নিজে ও অপরকে নিরা'পদ রাখার স্বার্থসম্মত উপকরণ। সূত্র : কনভার্সেশন.কম থেকে সাঈয়েদা হাবিবার অনুবাদ। অনুবাদক: শিক্ষিকা, ফেইথ ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি, গুলশান, ঢাকা।