এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবক্স থেকে এবার পাওয়া গেছে ১২ বস্তা টাকা। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে বিপুল স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খুলে এসব টাকা পাওয়া যায়। চলছে টাকা গণনা। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছন।
এবার প্রায় ৬ মাস ৭ দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলো। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত ৩ মাস পর পর দানবাক্স খোলা হয়। তবে এবার করোনা মহামা'রির কারণে দে'রিতে খোলা হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। পরে দানবাক্সের টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। ছোট বড় ১২টি টাকা ভর্তি বস্তা নেয়া হয় মসজিদের দ্বিতীয় তলায়।
এরপর মসজিদের মেঝেতে রেখে শুরু হয় গণনার কাজ। এসময় ব্যাংক কর্মকর্তা ও মসজিদ মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী গণনা কাজে সহযোগিতা করছেন। বিকেল ৫টা নাগাদ গণনা শেষে জানা যাবে এবার কত টাকা পাওয়া গেল। টাকার পাশাপাশি দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।
টাকা গণনার কাজ তদা'রকি করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি, মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তারা।