মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী : ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ রোজা। নামাজ ও জাকাতের পর এটি অবশ্য পালনীয় বা ফরজ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। মাহে রমজান ও রোজার মাসের গুরুত্বও মুমিনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এ মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। আগের অনেক আসমানি কিতাব রমজানে নাজিল হওয়ায় এ মাসের মর্যাদা সহজেই অনুমেয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনের সূরা আল-বাকারার ১৮৩ ও ১৮৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন-
'হে বিশ্ববাসী! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যাতে তোমরা পরহেজগারী অর্জন করতে পার। গণনার কয়েকটি দিন, এ সময় তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ কিংবা ভ্রমণে থাকবে, তাকে অন্য সময় রোজা পূরণ করে নিতে হবে।’
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জবানেও রমজানের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে নানাভাবে। বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত হয়েছে মহানবী (সা.) বলেছেন, 'ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) তার প্রেরিত রসুল। এ মর্মে সাক্ষ্য দেয়া, নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ সম্পাদন করা, রমজানের রোজা পালন করা।'
রসুল (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে লোক ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভেঙে ফেলবে, এরপর সে সারাজীবন রোজা রাখলেও তার ক্ষতি পূরণ হবে না’। -তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনে মাজা, ইবনে খুজায়মা।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘ইসলামের শিকড় ও ধর্মের বুনিয়াদ তিনটি; আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই- এ সাক্ষ্য দেয়া, নামাজ ও রোজা। যে লোক এর একটি পরিত্যাগ করবে, সে কাফের হিসেবে গণ্য হবে।
রোজা অবশ্যই এমন একটি ইবাদত যা মমিনদের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা দান করে। শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক দিক থেকেও রোজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যে কারণে রোজা বান্দার জন্য মাবুদের রহমতবিশেষ। আল্লাহ আমাদের সহিভাবে রোজা পালনের তওফিক দান করুন। আমিন। ( সংগৃহিত)
লেখক : ইসলামী গবেষক।