তোলপাড় চলছে এক শিখ নারীর ইসলাম ধর্ম গ্রহন ও এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার কারণে। তবে ঐ শিখ নারীর সাফ কথা আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি নিজের ইচ্ছায় আর বিয়ে করেছি আদালতের মাধ্যমে।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মিরের বিভিন্ন শিখ দল বলছে যে তাদের ধর্মের দু’নারী শ্রীনগরে অপহৃ'ত হয়েছেন, তাদের জো'র করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করেছে ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিরা। এ অভি'যো'গের প্রেক্ষিতে ওই দুই শিখ নারীদের মধ্যে একজন ওই দা'বি করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাই'রাল হওয়া এক ভি'ডিওতে ওই নারী বলেন, আমি স্বেচ্ছায় এক মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়ে করেছি। আমি ২৯ বছর বয়সী নারী, আমি শিশু নই। তিনি আরো বলেন, তাকে কেউ জো'র করেনি বরং তিনি নিজের ইচ্ছায় অন্য ধর্মের (মুসলিম) ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন।
ওই নারী ভিডিওতে আরো বলেছেন, ‘কোনো ধর্ম বা সংখ্যালঘু সং'ক্রান্ত বিষয় এর মধ্যে আনবেন না। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আমায় যে সকল অধিকারগুলো দিয়েছে, আমি আমার ওই অধিকারগুলো সম্পর্কে সচেতন।’
এ নারী আরো জানিয়েছেন, তিনি ২০১২ সালে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। পরে ২০১৪ সালে নিজের ইচ্ছায় তার সহপাঠী মুজাফ্ফরকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
এদিকে শিখ সংগঠনগুলো দা'বি করেছে, এ মহিলাকে জো'র করে ব'ন্দুকের গু'লির ভ'য় দেখিয়ে ধর্মান্তর ও বিয়ে করা হয়েছে। আকালি দলের নেতা মানজিনদার সিং শির্সা রোববার শ্রীনগরে এক বি'ক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। তিনি অভি'যোগ করেন, ওই নারীকে অ'পহর'ণ করা হয়েছে। জো'র করে ধর্মান্ত করা হয়েছে এবং অন্য ধর্মের এক পুরুষের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে শিখ ধর্মের একটি প্রতিনিধি দল জম্মু ও কাশ্মিরের লেফটেনেন্ট গভর্নরের সাথে দেখা করেছে। এনডিটিভিকে মানজিনদার সিং শির্সা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে কাশ্মির উপত্যকার এ সংখ্যালঘু শিখ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ নারীদের দ্রুতই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শীঘ্রই শিখ ধর্মের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করবেন, তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন।
জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এক টুইটে বলেছেন, ‘শিখ ও মুসলিমদের মধ্যে যেকোনা বিভেদ জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের অপূ'রণীয় ক্ষ'তি করবে। আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুতই এ ঘটনার তদ'ন্ত করবে এবং যদি কেই এ ঘটনায় আইন ভ'ঙ্গের অপরা'ধে দোষী বলে সাব্যস্ত হন তাদের বিচার হবে এবং সাজা হবে।
জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের গ্রান্ড মুফতি নিসার উল ইসলাম বলেন, শিখরা আমাদের কাশ্মিরি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে জো'র করে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করার কোনো বিষয় নেই।
প্রথমত, ইসলামে জো'র করে ধর্মান্তকরণ বৈধ নয়। কেউ যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চান, তবে তিনি তা করবেন এ (ইসলাম) ধর্মের প্রতি তার নিজের দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে। কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা বা জো'র করা ছাড়াই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন।
এছাড়া কাউকেই শিখ ভাইদের বিশ্বাস নিয়ে খেলতে দেয়া যাবে না। যদি কেউ এমন অন্যায় করে তার বিরু'দ্ধে ক'ঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : মুসলিম মিরর