উম্মে আহমাদ ফারজানা : খাবারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ ও শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। ইমাম আহমাদ বলেন, খাবারে চারটি জিনিস একত্র হলে ওই খাবার পরিপূর্ণ হয়। যথা—খাওয়ার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা, শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা, (একাধিক লোকের) অনেক হাত পড়া এবং তা হালাল হওয়া। (জাদুল মাআদ ৪/২৩২)
‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাবার শুরু করলে শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, অবশ্যই শয়তান (মানুষের) খাবার খেতে সক্ষম হয়, যদি খাওয়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ না বলা হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৭৬৬)
তিনি আরো বলেন, তোমাদের কেউ নিজ বাড়িতে প্রবেশকালে এবং খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বললে, তখন শয়তান (তার সঙ্গীদের) বলে, তোমাদের জন্য রাত যাপনের স্থানও নেই এবং রাতের খাবারও নেই।
আর সে বাড়িতে প্রবেশকালে ‘বিসমিল্লাহ’ বললে এবং রাতে খাবার সময় না বললে শয়তান বলে, তোমরা রাতের খাবার পেলে, কিন্তু রাত যাপনের জায়গা নেই। আর যখন সে খাবারের সময়ও বিসমিল্লাহ না বলে, তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত যাপনের জায়গাও পেলে এবং খাবারও পেলে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৭৬৫)
খাওয়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে গেলে নির্দিষ্ট দোয়া পড়তে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন তোমাদের কেউ কোনো খাবার খাবে, তখন সে যেন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে। প্রথমে বলতে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়া মাত্র বলবে, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আ-খিরাহু’। অর্থ : আল্লাহর নামে খাওয়ার শুরু ও শেষে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৫৮)
খাওয়া শেষ হলে ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বা নির্দিষ্ট দোয়া পড়তে হয়। যেমন—
খাবার শেষে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করলে আগের গোনাহ মাফ হয়ে যায়।
উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযি আত্ব্-আমানি হা-যা ওয়া রাযাকানিহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নি ওয়ালা কুউওয়াহ।’
অর্থ : ওই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা, যিনি আমাকে এই খাদ্য খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোনো চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়াই। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫৮)