মাইমুনা আক্তার : শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সে মানুষকে বিপথগামী করতে কখনো কখনো পাপকে সুশোভিত করে উপস্থাপন করে। ফলে মানুষ তার ফাঁদে খুব সহজে পা বাড়িয়ে দেয়। ওই পাপ কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং হিদায়াতের পথ থেকে দূরে সরে যায়।
তাদের কাছে পাপাচারের অন্ধকারকেই প্রগতি ও আলো মনে হয় আর জাহান্নামের অগ্নিশিকলকে সফলতার মালা মনে হয়।
শয়তান এ পদ্ধতিতে মানুষকে পথভ্রষ্ট করবে বলে মহান আল্লাহর সামনেই ঘোষণা দিয়েছিল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই জমিনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয়ই তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৩৯)
অর্থাৎ যেভাবে তুমি এই নগণ্য ও হীন সৃষ্টিকে সিজদা করার হুকুম দিয়ে আমাকে আপনার হুকুম অমান্য করতে বাধ্য করেছে, ঠিক তেমনিভাবে এ মানুষদের জন্য আমি দুনিয়াকে এমন চিত্তাকর্ষক ও মনোমুগ্ধকর জিনিসে পরিণত করে দেব, যার ফলে তারা সবাই এর দ্বারা প্রতারিত হয়ে আপনার নাফরমানি করতে থাকবে, আখিরাতের জবাবদিহির কথা ভুলে যাবে।
অথবা আয়াতের অর্থ, নাফরমানকে তাদের কাছে এমন চিত্তাকর্ষক করে তুলব যে তারা আপনার নির্দেশ ভুলে যাবে। (ফাতহুল কাদির)
শয়তান তার এই পদ্ধতির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বহু জাতিকে পথভ্রষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর শপথ, আমি তোমার আগে বহু জাতির নিকট রাসুল প্রেরণ করেছি। অতঃপর শয়তান তাদের জন্য তাদের কর্মকে শোভিত করেছে। তাই আজ সে তাদের অভিভাবক। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৩)
তাই মুমিনের উচিত দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে প্রতারিত না হওয়া। এমনকি ধর্মীয় কাজ করার সময়ও সেখানে পরিপূর্ণ ইখলাস, বিশুদ্ধ আকিদা, কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া।
মহান আল্লাহ সবাইকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন। আমিন।