ইসলাম ডেস্ক: আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখেছ, সেভাবে নামাজ পড়।’ সুতারাং মহানবী (সা.) নামাজের মধ্যে কি কি দোয়া পড়তেন আমাদের তা অবশ্যই জানা দরকার। শুধু জানা নয়, সেই দোয়াগুলো অবশ্যই আমাদের সবাইকে আমল করা উচিত। নামাজে রাসূল (সা.) রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যে দোয়া পড়তেন, তা হলো-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি নামাজ ততক্ষণ পর্যন্ত হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে আল্লাহু আকবার বলবে অতপর রুকু করবে অতপর سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَة বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। (আবু দাউদ) অর্থাৎ রুকুর পর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
১. অতপর তিনি বলতেন- اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْد-
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
অর্থাৎ হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা তোমারই।
২. তার পর বলতেন
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ
উচ্চারণ : রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছিরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফিহি।
অর্থ : “হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” (বুখারি)
৩. হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহ আনহু বলতেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন, তখন বলতেন-
اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْأَ السَّمَوَاتِ وَمِلْأَ الأَرْضِ، وَمَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْأَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيءٍ بَعْدُ. أَهلَ الثَّناءِ وَالْمَجْدِ، أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ، وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ. اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ
উচ্চারণ : মিল’আস সামা-ওয়া-তি ওয়া মিল’আল আরদি ওয়ামা বাইনাহুমা, ও মিল’আ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা‘দু, আহলাস সানা-য়ি ওয়াল মাজদি, আহাক্কু মা ক্বালাল ‘আবদু, ওয়া কুল্লুনা লাকা ‘আবদুন, আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘য়ু যাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
অর্থ : “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসা করছি। আসমানসমূহ পূর্ণ করে, যমীন পূর্ণ করে ও যা এ দু’টির মাঝে রয়েছে (তাও পূর্ণ করে), আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে প্রশংসা ও সম্মান-মর্যাদার যোগ্য সত্ত্বা! বান্দা সবচেয়ে যে সঠিক কথাটি বলেছে তা হচ্ছে- আর আমরা সবাই আপনার বান্দা- হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো কাজে লাগবে না।” (মুসলিম, মিশকাত)
২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ