রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:০৪:০০

৬টি কারণে নামাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে যায়

৬টি কারণে নামাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে যায়

ইসলাম ডেস্ক: সালাত আরবী শব্দ, বাংলায় নামাজ। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হলো নামাজ। মুসলমানদের উপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ফরয ইবাদত বলে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আল্লাহ তায়ালার নির্দেষ মোতাবেক প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকেন। নামাজ হলো এমন এক ইবাদত যা মুসলিম ও অমুসলিম এর মাঝে পার্থক্য করে দেয়।

হাদীসে বলা হয়েছে, বান্দা যখন সিজদায় যায় তখন সে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় হয়। কোরআনে প্রায় ৮২বার আল্লাহ নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন। হাদীসে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক তাগিদ দিয়েছেন নামাজ আদায়ের ব্যাপারে।

কিন্তু নামাজ আদায় করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনোযোগ থাকে না। কল্পনার জগতে মানুষ বড়ই বেপরোয়া। নামাজে ইচ্ছা করেও ধরে রাখতে পারে না মনোযোগ। নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকলে বান্দা বিপথগামী হয়ে পড়ে। নিজেকে সংশোধনী থেকে বিরত রাখে। শয়তান বান্দাকে সে পথেই ধাবিত করতে থাকে।

নামাজে যতসব কল্পনা। অনেক কঠিন বিষয়ের সমাধান খুব সহজে চলে আসে নামাজে দাঁড়ালে। অনেক জটিল হিসাব খুব সহজে মিলে যায়। কেন সালাত (নামাজে) মন থাকে না তার বাস্তবসম্মত কিছু কারণ তুলে ধরা হলো। এসবের কারণ হতে পারে নিচের যেকোনো একটি বা একাধিক বিষয়ে।

১. সালাতকে নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠান মনে করা: দৈনন্দিন আর পাঁচটা কাজের মত মনে করা। অথচ দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াবির একমাত্র উপাই। কেবলমাত্র কিছু মুখস্ত সুরা, দোয়া, মন্ত্রের মত পাঠ করা। তারপর রুকু করা, সিজদাহ করা- এভাবে নামাজ শেষ করা। পুরো বিষয়টি কেমন যেন একটা যান্ত্রিকতা ও অনুষ্ঠানিকতা। সালাতের সাথে অন্তরের একটা যে যোগসাজশ আছে তা অনেকেরই উপলব্ধি হয় না।

২. পাপ কাজে ডুবে থাকা: নিয়মিত সালাত আদায় করা সত্ত্বেও অনেক মুসল্লি আছেন যারা প্রকাশ্য ও নিয়মিত পাপে ডুবে থাকেন। মানুষ স্বভাবত যেসব করে তা তার সব সময় মনে থাকে। নামাজে সিনেমার কোনো অংশ মনে আশাটা অসম্ভব নয়। অনেকে আবার নাটক, সিনেমার, মাঝে মাঝে বিরতি বা অ্যাড দেয়ার সময় খুব তাড়াতাড়ি করে নামাজ সেরে ফেলেন।

৩. অর্থ না বোঝা: সালাত যেহেতু পুরোটাই আরবি ভাষায় তাই এর অর্থ আমরা সহজেই বুঝি না। অর্থ না বোঝার ফলে আমাদের মুখস্ত সুরাগুলো মুখে বলতে থাকি কিন্তু অলস অন্তর অন্য চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। আর যদি বোঝা যেত তাহলে অন্তর সেটা নিয়ে ভাবতো।

৪. আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার বেশি মূল্যায়ন করা : আজকাল সবাই সাথে সাথে ফিড ব্যাক পাওয়ার চিন্তা বেশি করে। নামাজের ওয়াক্তে অন্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে নামাজকে ভুলে। বিশেষ করে উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের তোয়াক্কা না করা।

৫. সালাতের হুকুম আহকাম ঠিকভাবে অনুসরণ না করা। রাসুলে কারীম (সা.) যেভাবে নামাজের নিয়ম দেখিয়েছেন তা সঠিকভাবে না মানা। নিয়মিত কোরআন-হাদীস পাঠ না করা। কোরআন-হাদিস নিয়মিত পাঠ না করলে শয়তান বান্দাকে অন্যদিকে ধাবিত করে। ফলে নামাজে মনোযোগ থাকে না।

৬. শয়তানের ধোঁকা : যেহেতু সালাত সবচেয়ে বড় ইবাদত তাই এতে শয়তানের ধোঁকাও বেশি। শয়তান তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বান্দার সালাত নষ্টের কাজে নেমে পড়ে। কিছু শয়তানের এ ব্যাপারে কাজ ভাগ করে দেয়া থাকে। সালাতে এদিক ওদিক তাকানো এটাও শয়তানের প্রভাবের ফল।
২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে