নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক নারী উপদেষ্টাসহ চার জনকে গ্রেফতারের পর এই সংগঠনের নারীদের প্রায় পুরো নেটওয়ার্কই হাতের নাগালে চলে আসছে বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এই চারজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ারও দাবি করেছে তারা। শিগগিরই এবিষয়ে সুখবর দেওয়ারও আশা প্রকাশ করেছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
র্যাব ৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবীর বলেন, শিগগিরই এবিষয়ে সুখবর দিতে পারবো। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, বুধবার মামলা তদন্তের অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পর বৃহস্পতিবার অনুমতি পেয়ছি। মামলাটি এখন আমরা তদন্ত করছি।
গত সোমবার ভোরে গাজীপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চার নারী জঙ্গি গ্রেফতারের পর নারী জঙ্গি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে এসব তথ্য পেয়েছে র্যাব। র্যাব জানায়, রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রথমে ঐশীকে আটক করা হয়। একই অভিযোগে গাজীপুর ও মিরপুর এলাকা থেকে আকলিমা রহমান মনি, ইশরাত জাহান মৌসুমী ওরফে মৌ ও খাদিজা পারভীন মেঘনা নামের আরও তিন তরুণীকে আটক করা হয়। তারা মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে লেখাপড়া করছিল। তাদের মধ্যে আকলিমা জেএমবির নারী ইউনিটের উপদেষ্টা। তাদের তিনজনকেই বহিষ্কার করেছে মানারাত কর্তৃপক্ষ।
খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, আমাদের কাছে তারা প্রাথমিক যে তথ্য দিয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জঙ্গি সন্দেহে আটক চার নারী
র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ওই চারজনের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। কয়েকজন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা দাওয়াতি কাজ, তহবিল সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহের কাজে থাকে। তাদের পুরো নেটওয়ার্কের খোঁজ পাওয়া গেছে। ধানমণ্ডির যে বাড়িতে পাকিস্তানি নারীর উপস্থিতিতে বৈঠক হতো সেই বৈঠকেও জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে কথা হতো বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে, ওই চার জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও দশ নারী জেএমবি সদস্যের তথ্য পেয়েছে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন-সাফিয়া ওরফে সানজিদা ওরফে ঝিনুক, মাইমুনা ওরফে মাহমুদা ওরফে লায়লা, তাসনুভা ওরফে তাহিরা, সায়লা ওরফে শাহিদা, সালেহা ওরফে পুতুল, দিনাত জাহান ওরফে নওমী ওরফে বানী, তানজিলা ওরফে মুন্নী, আলিয়া ওরফে তিন্নি ওরফে তিতলী, মনিরা জাহান ওরফে মিলি এবং ছাবিহা ওরফে মিতু। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কিছু সংখ্যক মহিলা সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে। -বাংলা ট্রিবিউন
২০ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম