নিউজ ডেস্ক : রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে কর্মসূচি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তবে আপাতত এ কর্মসূচি দেয়া হবে না।
জোটনেত্রী খালেদা জিয়া হজ শেষে দেশে ফেরার পর অর্থাৎ ঈদের পর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় কনভেনশনও করা হবে। এসব বিষয় নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবেন খালেদা জিয়া।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
১ জুলাই গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর ১৩ জুলাই ২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ বৈঠক হয়।
জোটের বৈঠকে জামায়াত প্রসঙ্গ আলোচনায় আসে। খালেদা জিয়া দলটির প্রতিনিধি আবদুল হালিমকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আওয়ামী লীগ শুধু বলে বিএনপি ও জামায়াত মিলে এটা-ওটা করছে। আপনাদের নিয়ে সরকার এত কথা বলে আপনারা বলতে পারেন না, আপনারা কেন তুলে ধরেন না আওয়ামী লীগের সঙ্গে একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, ’৮৬ সালে নির্বাচন করেছেন।'
এ সময় হালিম বলেন, ‘ম্যাডাম এসব আমরা বলছি তো।’ খালেদা জিয়া বলেন, আরও জোরালোভাবে বলতে হবে।
হালিম বলেন, 'জোট আছে এবং থাকবে। ক্ষমতায় যেতে এবং আন্দোলনের জন্য যাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার বলবেন। ডান-বাম নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।'
বৈঠকে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর খোলা চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়। এক নেতা বলেন, তিনি আমাদের ঘনিষ্ঠজন। তিনি খোলা চিঠিতে যা লিখেছেন তা আপনার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করেও বলতে পারতেন।
সূত্র জানায়, রামপাল ইস্যুতে সোচ্চার হতে জোটের প্রায় সব নেতাই মতামত দেন। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ রামপাল অভিমুখে লংমার্চ করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও কর্মসূচি দেয়া উচিত বলে মত দেন তারা। কারণ এ দুটি ইস্যুই জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট।
এ ইস্যুতে কর্মসূচি দিলে জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা মানে ভারত বিরোধিতা নয় বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। এছাড়া আন্দোলন ও জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারেও মত দেন নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে জোটের শরিক শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এলডিপির অলি আহমেদ, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যেজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। - যুগান্তর
২২ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস