এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সম্প্রতি দেশে ৬০০ সিসি লিমিট পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং শিগগিরই তা গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে ৬০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল অনুমোদনের দাবিটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, প্রকৃতপক্ষে, এই দাবিটি কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই প্রচারিত হচ্ছে। এ বিষয়টি গুজব বলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে ওয়েবসাইটটিতে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ওয়েবসাইট যাচাই করেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মূলধারার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সংস্থাপন শাখা কর্তৃক জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিবন্ধন ও দেশের সড়কে চলাচল অনুমোদিত হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্ষমতার সীমা বাড়িয়ে ১৬৫ সিসি করা হয়।
গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে দেশের সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্ষমতার সীমা ৩৭৫ সিসি থেকে বৃদ্ধি করার কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি। সুতরাং ৬০০ সিসি ক্ষমতা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া।
বাংলাদেশে ৬০০ সিসি সীমা পর্যন্ত মোটরসাইকেল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এর পরিচালক (রোড সেফটি) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘৬০০ সিসির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
সর্বশেষ সাড়ে ৩০০ সিসির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে, নিরাপত্তা বাহিনী যদি এর ওপরে আনে তাদের ভিন্ন কথা। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য ৬০০ সিসির অনুমোদন দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা।’