ঢাকা : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বান্ধবীর সঙ্গে রিশার একটি সেলফি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্কুল পোশাক পরা দুই বান্ধবীর হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দেয়া ছবি।
ছবিটি শেয়ার করে অনেকেই লিখেছেন- ‘উই উইল ফাইট ফর রিশা (আমরা রিশার জন্য যুদ্ধ করবো)।’
রিশার ঘাতক ওবায়দুলকে ধরিয়ে দিতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে তার সহপাঠীরা।
এদিকে কাকরাইলে অবস্থিত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের ভেতরেও টাঙানো রয়েছে রিশার ছবি। স্কুলের সামনে-পেছনের দুই গেইটে রিশার হাস্যোজ্জ্বল ছবি।
কালো কাপড়ে লেখা প্রতিবাদ, ‘সুরাইয়া আক্তার রিশার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই’-উইলস পরিবার। স্কুলের ভেতরে রিশা স্মরণে পতাকা রাখা হয়েছে অর্ধনমিত।
২৪ আগস্ট বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে ওভারব্রিজের ওপর সুরাইয়া আক্তার রিশাকে (১৫) ছুরিকাঘাত করে এক বখাটে।
গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় মারা যায় রিশা।
যার ছুরিকাঘাতে খুন হয় সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৫) সেই ঘাতক কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খানকে খুঁজছে পুলিশ।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলের বৈশাখী টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুলই রিশার ঘাতক বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলের বৈশাখী টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুলই রিশার ঘাতক বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন জানান, বুধবার উইলস লিটলফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ওভারব্রিজে রিশাকে ছুরিকাঘাতের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন কাটিং মাস্টার ওবায়দুল।
ঘটনার পর তাকে গ্রেফতার করতে বৈশাখী টেইলার্সে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। গত কয়েদিন ধরে সে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে গ্রেফতার করতে সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
রিশার বাসা রাজধানীর বংশালের ১০৪ সিদ্দিক বাজারে।
২৯ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম