ঢাকা : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হলুদ সাংবাদিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যারা অনর্গল মিথ্যা কথা বলেন, তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি অনর্গল মিথ্যা কথা বলেন।
শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে ‘মিথ্যা ফখরুল’বলে জানে। মির্জা ফখরুলের আসল নামও এটাই। কাজ দিয়ে সেটাই প্রমাণ করেছেন তিনি। যেসব পত্র-পত্রিকা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, হলুদ সাংবাদিকতা করে, তাদেরই পক্ষ নিয়ে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এমনকি ইউরোপের দেশগুলোর সংবাদ মাধ্যমও বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা ভোগ করে না।
আর মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, দেশে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই।
তিনি বলেন, এজন্য নাকি ৩৫টি অনলাইন পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আসলে বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকার মতো স্বাধীনতা পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও নেই।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফখরুল সাহেব ঠিকই বলেছেন, উনারা ক্ষমতায় থাকলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। আমরাও বলতে চাই- আপনারা দেশে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রই করতেন না, আপনাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন তো দেখেছি, শুধু খাম্বাই বানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষায় যেমন শতভাগ নম্বর পাওয়া যায় না, তেমনি সরকারের পক্ষে শতভাগ সফলভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। দুই একটি ভুলের জন্য অতিরিক্ত সমালোচনা করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সমালোচনার পরিববর্তন আনা দরকার। সাথে সাথে ভালো কাজের প্রসংশাও করা দরকার। বিশ্বের অন্য দেশে সরকার ভালো কাজ করলে বিরোধী দলও প্রসংশা করে, কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না।
বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে হাছান বলেন, দল গোছানোর চেষ্টা করছেন ভালো কথা। কিন্তু জঙ্গি লালন পালন করছেন কেন? এই সর্বনাশা পথ পরিহার করে অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে সুস্থধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন।
আমরা আশা করছি- বিএনপি নেত্রী হজ থেকে ফিরে জঙ্গিদের বাদ দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুনভাবে রাজনীতিতে ফিরে আসবেন, যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক সেটা আমরাও চাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি ও সবুজবাগ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাশ।
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করিম, ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ, আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সাম্যবাদী দলের ঢাকা মহানগরের নেতা হারুন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
১৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম