নিউজ ডেস্ক : মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ২৭ শর্তে সভা করতে অনুমতি দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
কী ছিলো তাদের সেই ২৭ শর্ত! আসুন জেনে নেয়া যাক।
১, এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়।
২, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
৩, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের অভ্যন্তরে আলোচনা সভার যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪, আলোচনা সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৫, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভাস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৬, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশগেটে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং আলোচনা সভায় আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৭, নিজম্ব ব্যবস্থাপনায় Vehicle Scanner/Search Miirror এর মাধ্যমে আলোচনা সভাস্থলে আগত সকল যানবাহন তল্লাশীর ব্যবস্থা করতে হবে।
৮, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভাস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৯, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।
১০, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্শন স্থাপন করা যাবে না।
১১, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের বাইরে , রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
১২, আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১৩, ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১৪, অনুমোদিত স্থান ব্যতিত অন্য কোনও স্থানে আলোচনা সভা করা যাবে না।
১৫, আলোচনা সভা ব্যতিত মঞ্চকে অন্যকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
১৬, আলোচনা সভা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।
১৭, বিকাল সাড়ে ৪ টার মধ্যে আলোচনা সভার সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
১৮, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের আশপাশসহ রাস্তায় কোনও অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও মানুষের চলাচলে কোনও প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১৯, আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
২০, রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
২১, উস্কানীমূলক কোনও বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
২২, কোনও ধরণের লাঠি-সোটা/ব্যনার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
২৩, মিছিল সহকারে আলোচনা সভায় আসা যাবে না।
২৪, রাস্তা কোনও গাড়ী পার্কিং করা যাবে না।
২৫, আইন-শৃঙ্খলা ও কোনও বিরুপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
২৬, উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২৭, জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
০৯ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম