নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি দেশের প্রথম সারির একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিশ্চিত করেছেন।
পবিত্র মক্কা শরীফে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের জন্য গত চার বছর যাবত সৌদি সরকার বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য সংরক্ষিত কোটার চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ কম হজযাত্রী পাঠানোর নির্দেশনা জারি করে। ফলে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও গত চার বছর যাবত বাংলাদেশের জন্য সংরক্ষিত মোট ১ লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রীর সবাইকে হজে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সংরক্ষিত কোটার সব অর্থাৎ ১ লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন।
চলতি বছর হজ কার্যক্রমের সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত ওই কর্মকর্তা জানান, ২০১৩ সাল থেকে সৌদি সরকার পবিত্র মক্কা শরীফে সংস্কার কাজের জন্য সংরক্ষিত কোটার চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ কম সংখ্যক হাজি পাঠাতে অনুরোধক্রমে নির্দেশনা জারি করে।
তিনি আরো বলেন, গত চার বছরে সংস্কার কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ায় ওই নির্দেশনা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি সরকার। পূর্ণাঙ্গ কোটায় আগামী বছর হাজি পাঠানোর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত।
এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনলাইনে প্রাক-হজ নিবন্ধন শুরু হতে পারে। গত বছর যারা নিবন্ধন করেও সিরিয়াল পেছনে থাকায় হজে যেতে পারেননি তারা অগ্রাধিকার পাবেন। এ ধরনের অগ্রাধিকার পাবেন প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ১ হাজার ৮২৯ জন বাংলাদেশি হজ করেছেন। গত ৪ আগস্ট প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরব যায় এবং ৬ সেপ্টেম্বর ছিল এ বছর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রার শেষ ফ্লাইট। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবর শেষ হয়। বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করে।
১২ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর