এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ যদি আবার ফিরে তাহলে ভয়ংকর রূপে ফিরবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন ছিলো জালিয়াতির নির্বাচন, ভোট ডাকাতির নির্বাচন। ২০০৮ সালেও ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে পাতানো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। ভারতের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ পাখির মতো মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের জাতীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ আলেমদের নানাভাবে নিপীড়িত করেছে, নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, আলেম, সাংবাদিক, কেউ রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগ যদি আবার ফিরে তাহলে ভয়ংকর রূপে ফিরবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর উচিত ছিলো গণহত্যায় জড়িতদের শহীদ মিনারে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলা। কারণ তারা ভয়ংকর রূপে ফেরার পায়তারা করছে। ছাত্রদের উচিত ছিলো আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা, কিন্তু সবাই ভাগবাটোয়ারা, ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আমরা সবাই শ্রমিক, সেটা প্রধান উপদেষ্টা হোক কিংবা প্রধানমন্ত্রী হোক।
এমপি, মন্ত্রীরাও শ্রমিক, তারাও বেতন নেন, হয়তো কাজের ধরন ভিন্ন। বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত কয়েক বছর তরুণ, ছাত্র, যুব শ্রমিকরা যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল তার ফলেই কিন্তু ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। জুলাই ঘোষণা পত্রে গত ১৫ বছরে বিরোধী মতের সবার ত্যাগকে লিপিবদ্ধ করতে হবে। শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কিংবা নিহতদের পরিবারকে নয়।
গত ১৫ বছরে লড়াই করতে গিয়ে যারা আহত হয়েছে তাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে, যারা জীবন দিয়েছিলো তাদের পরিবারকেও সহযোগিতা করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ট্যাক্স বাড়িয়ে সরকার জুলুম শুরু করেছে। অনতিবিলম্বে এই ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারকে বলবো, হাসিনার স্টাইল ফলো করিয়েন না, তাহলে পরিণতিও হাসিনার মত হবে। আপনারা রাষ্ট্র সংস্কারের আগে আওয়ামী হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারের গুন্ডাদের গ্রেফতার করে দেখান।
সভা সঞ্চালনা করেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ। সভায় বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, মাহফুজুর রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।