শুক্রবার, ০৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:৩৯:২৯

মেডিক্যালে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ দেবেন শিক্ষার্থীরা

মেডিক্যালে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ দেবেন শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক : মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গণমাধ্যমকে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  এর আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ জমা দিতে চেয়েছিলেন।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিভিন্ন প্রমাণ তুলে ধরবেন।  এ সময় গণমাধ্যমকে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণাদি সরবরাহ করা হবে বলে জানান আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র খালিদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-বুদ্ধিজীবীদের সংহতি সমাবেশ থেকে খালিদ সাইফুল্লাহ এসব কথা জানান।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া স্মারকলিপির কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।  পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১০টায় আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হব।  সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেব।

তিনি বলেন, শাহবাগ থেকে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন।  সেসব প্রমাণাদি গণমাধ্যমকর্মীদেরও সরবরাহ করা হবে।

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কথা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যদি তদন্ত কমিটি করা হতো, সে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে কারো রাস্তায় আসার দরকার হতো না।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী যুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন।  প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে বড় কর্মকর্তা জড়িত এবং এর পেছনে একটি বড় জাল রয়েছে।  এ দায় থেকে জনগণ কখনই তাদের মুক্তি দেবে না।

সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সমাধানের দাবি নিয়ে ২০ দিন ধরে আন্দোলন করে এলেও অভিযোগ আমলে না নিয়ে তাদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।  প্রশ্ন বাণিজ্যের সঙ্গে কারা জড়িত এবং বাণিজ্যের টাকা কার পকেটে কত ঢুকেছে আমরা জানতে চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেন, কাজ করলে সেখানে ভুল হতে পারে।  কিন্তু আমাদের শাষকগোষ্ঠীর একটা প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, তারা কোনো ভুল করতে পারে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, একসময় পাবলিক পরীক্ষায় নকল হতো আর এখন নকল হয় না।  কারণ প্রশ্নগুলো আগেই ফাঁস হয়ে যায়।  নতুন পরীক্ষা দিয়ে আপনারা প্রমাণ করুন আপনারা ভুল করেছেন এবং বলুন ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।

অভিভাবক প্রতিনিধি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের যে ঘটনা ঘটেছে আইনের মাধ্যমে সেটির সমাধান হোক।  যে প্রশ্নে পরীক্ষা দেব তা যেন ফাঁস না হয়।  টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন যেন কেনা না যায়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরামের ডা. রত্না বৈষ্ণব, কুমিল্লা অঞ্চলের আন্দোলনের সমন্বয়ক পাপন পাল, অভিভাবক কামরুজ্জামান প্রমুখ।
৯ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে