শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:১০:০৫

‘এত অনিশ্চিত জীবন স্বৈরাচারের আমলেও ছিল না’

 ‘এত অনিশ্চিত জীবন স্বৈরাচারের আমলেও ছিল না’

ঢাকা : বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এত অনিশ্চিত জীবন স্বৈরাচারের আমলেও ছিল না।  আমরা প্রায়ই স্বৈরাচারের কথা বলি।

শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার সভার আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এমন কোনো ইউনিয়ন নেই যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়নি।  এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে কোনো না কোনো মানুষ ও বিরোধী দল করার কারণে মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন না।  

তিনি বলেন, এটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না।  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ষড়যন্ত্র করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা যে অভিযোগ করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, লন্ডনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।  সবই জানে সরকার কিন্তু জানার পরও বাজে কথা বলছে, অপপ্রচার করছে। সরকারের উদ্দেশ্য একটাই- যেকোনো প্রকারে বিএনপিকে হেয় করা।

তিনি বলেন, কথায় কথায় জঙ্গিবাদ, কথায় কথায় প্রতিপক্ষকে জঙ্গি বা জঙ্গির সমর্থক বা উস্কানিদাতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  এতে বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে প্রশ্নবোধক করে রাখা হয়েছে।  ফলে দেশের ভাবর্মূতি নষ্ট হচ্ছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ক্ষমতাসীনরা অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর কথা বলেন। খালেদা জিয়া গোপনে দেশ ত্যাগ করেননি।  তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন।  পুত্র-পুত্রবধূ-নাতনিসহ তার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি হত্যার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত।  ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট করেছে, এর সঙ্গে জামায়াত জড়িত থাকতে পারে।  এখন প্রধানমন্ত্রী মতামত বদলাতেও পারেন।  এরপরও হয়তো বিএনপির কথা বলতেই থাকবে।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আজ কেউ নিরাপদ নয়।  মায়ের পেটের শিশুরাও নয়।  বিদেশিরা আমাদের দেশে মেহমান, যাদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।  তাদেরও নিরাপত্তা আমরা দিতে পারছি না।  এটা জাতি হিসেবে লজ্জার।  দেশ হিসেবে আমাদের ক্ষতির কারণ।
১০ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে