নিউজ ডেস্ক : চলতি দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসে অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ গতকাল রাত ৭ টার দিকে পর পর তিন থেকে ৪টি বিকট আওয়াজ শোনা যায়। এতে সংসদ ভবনের ভেতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দৌঁড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। কেউ কেউ আবার সিঁড়ি বেয়ে দৌঁড়াতে থাকেন।
দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিকবিদিক ছুটতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে রটে যায় সংসদ এলাকায় গোলাগুলি হচ্ছে। এক পুলিশ সদস্য দৌঁড়ে এসে বলেন ভাই গোলাগুলি হচ্ছে। আরেকজন বলেন বাইরে আগুন জ্বলছে। এতে আতংকের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সংসদ সচিবালয়ের ভেতরের মসজিদে থাকা মুসল্লীরা দ্রুত মসজিদ ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন। এসময় তাদের চোখেমুখে ছিলো আতংকের ছাপ।
সংসদের মূল গেটের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভাই অনেকে নামাজ শেষ না করেই দৌঁড়াতে থাকেন। ঘটনা কি ঘটেছিল জানতে চাইলে সংসদের কর্মকর্তারা জানান, ৭ই ডিসেম্বর বিদ্যুতের ১৩ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার উৎসব করা হবে। এজন্য একটি মহড়া চলছিল।
এবিষয়টি নিয়ে ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া জাতীয় সংসদের সার্জেট অ্যাটআর্মসকে ডেকে জানতে চান সংসদ অধিবেশন চলাকালীন এ ধরণের ঘটনা কেনো ঘটানো হলো। এর জবাবে সার্জেট অ্যার্ট আর্মস জানান স্পিকারের অনুমতি রয়েছে। সংসদ থেকে প্রধানমন্ত্রী বের হয়ে যাওয়ার পর পরই এমন ঘটনা ঘটানো হয়।
ডেপুটি সার্জেট অ্যার্ট আমস সদরুল আহমেদ খান সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুত বিভাগের পক্ষ থেকে সাফল্যের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে মূল অনুষ্ঠান হবে। আতশবাজি হবে সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায়। সংসদ চলাকালীন বিস্ফোরক দ্রব্য বহন ও আতশবাজী নিষিদ্ধ থাকায় এজন্য বিশেষ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ মহড়া।
এর আগে ঘটনার সত্যতা খুঁজতে বাইরে গিয়ে দেখে যায় চারিদিকে উৎসুক লোকজন জড়ো হয়ে গেছে।
৪ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি