এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যত্নআত্তির দায়িত্বে আছেন দুই পুত্রবধূ। বেশির ভাগ সময় দাদিকে সঙ্গ দিচ্ছেন তিন নাতনি। আপনজনের সান্নিধ্যে ফুরফুরে মেজাজে সময় পার করছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার লন্ডন থেকে মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লম্বা ভ্রমণের পরও বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে আপনজনের সান্নিধ্যে থাকায়।
দি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তির পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কয়েকটি রিপোর্ট আসার পর পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা ওষুধ প্রয়োগ করছেন। অন্যান্য রিপোর্ট পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড বসে লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে কিনা প্রশ্নে মেডিকেল বোর্ডের ওই সদস্য বলেন, লন্ডন ক্লিনিকে খুবই উন্নতমানের চিকিৎসা হয়। মনে হয় না ম্যাডামকে অন্য কোথাও নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। তবে বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতালে দাদির পাশে ছিলেন নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানান, সংগঠনের সেক্রেটারি কয়সর এম আহমেদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের একজন ও তাঁর লন্ডন ক্লিনিকে প্রবেশাধিকার রয়েছে। ম্যাডাম ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনিকে কাছে পেয়ে মানসিকভাবে ভালো আছেন। ডা. জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান (প্রয়াত কোকোর স্ত্রী) সার্বক্ষণিক শাশুড়ির যত্নআত্তি করছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ডা. জুবাইদা রহমান বাসা থেকে রান্না করে খাবার শাশুড়িকে খাওয়াচ্ছেন।
লন্ডনে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ব্রিফিংয়ে বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হবে। বড়দিনের ছুটিতে এখনও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তারা এসে খালেদা জিয়াকে দেখার পর চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। বাংলাদেশ থেকে আসা চিকিৎসা বোর্ডের সদস্যরাও তাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ অব্যাহত রেখেছেন।
খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, আমার মা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য সদয়ভাবে পরিবহন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য আমি কাতারের আমিরের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমার পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এ সমর্থনের জন্য আমি তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং বহুমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে উন্মুখ।