নিউজ ডেস্ক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শরীয়তপুরের রাজাকার ইদ্রিস আলী সরদার ওরফে গাজী ইদ্রিসকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার শুরু থেকেই পলাতক থাকায় ইদ্রিস আলী সরদারের অনুপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারকরা জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়ার পর তার সাজা কার্যকর করা হবে।
ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।
হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ মোট চারটি অভিযোগ ছিল ইদ্রিস রাজাকারের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে প্রথম দুই অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড, তৃতীয় অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চতুর্থ অভিযোগ সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ১৪ জুন সোলায়মান-ইদ্রিসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাতে গোয়েন্দা পুলিশ সোলায়মান মোল্লাকে গ্রেফতার করলেও ইদ্রিস সরদার পলাতক। তবে সোলায়মান মোল্লা ওরফে সোলেমান মৌলভী গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান। এজন্য তাকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে সাত খণ্ডে ৮৫২ পাতার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রসিকিউশনে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা।
প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি রাষ্ট্রপক্ষে এবং সোলায়মানের পক্ষে তার আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম ও পলাতক ইদ্রিসের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুশ শুকুর খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
০৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম