মনিরুল ইসলাম : খুব যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাও নয়, হল কিংবা ডির্পার্টমেন্ট ছিল ভিন্ন। কিন্তু তার কন্ঠে যখন শ্লোগান উচ্চারিত হতো এবং অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ বা মধুর ক্যান্টিনের সামনে মিছিলোত্তর কিংবা মিছিলপূর্ব সমাবেশে তার বক্তৃতা শুনতাম ভীষন মুগ্ধ হতাম!
শিক্ষাজীবন শেষে কিংবা কর্মজীবনের প্রথম কয়েকবছরে তার সাথে আমার বিশেষ কোন স্মৃতি নেই! ২০০৩ সালের প্রথম দিক থেকেই তাঁর সাথে আবার যোগাযোগ গড়ে ওঠে। প্রফেশনাল হ্যাজার্ডের বিষয়ে কখনো কখনো কথা হতো তবে দেখা হয়েছে খুবই কম। ২০০৭ এ ঢাকায় বদলী হয়ে গেলাম, পাথর সময় কিন্তু যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তারপর থেকেই আমি ছিলাম তার স্নেহধন্য ছোটভাই। কীইবা এমন বয়স, এক দু'বছরের বড় কিন্তু আচরণে ছিলেন একেবারেই মুরুব্বী।
সেভাবে কখনো প্রয়োজন পড়েনি তবে সব সময়ে জানতাম যেকোন প্রয়োজনে অকপটে এগিয়ে আসবেন সেই বড়ভাই। দেখা হলেই বলতেন, 'বউমা কেমন আছে রে?' টেলিফোন কথোপকথনের স্মৃতিই আমার বেশী। এতো আন্তরিকভাবে সম্বোধনের সম্পর্ক আমার হাতে গোনা। গতকাল টেলিভিশনের স্ক্রলে যখন সংবাদটি প্রথম দেখলাম বুঝতেই পারছিলাম না কি করবো! প্রথমে ভাবলাম যাব না! তার যে স্মৃতি আমার হৃদয়ে আছে সেটিই ধারন করবো, সে স্মৃতি নষ্ট করবো না!
কিন্তু পারলাম না, শেষ পর্যন্ত পেশাগত কারনেই যেতে হলো। গত ২১ বছরে একই কারনে অসংখ্য মৃতদেহের কাছে যেতে হয়েছে, কখনো ভাবিনি তাঁর কাছে এভাবে যেতে হবে, এভাবে তাকে দেখবো! সবাইকেই যেতে হবে কিন্তু এভাবে কেউ চলে যায়! যেখানেই যান, ভাল থাকুন, শাকিল ভাই! - ফেসবুক থেকে
৭ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসবি