বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:০০:০০

মা, আমি ভালো আছি, আল্লাহর পথে চলে গেলাম: নিঁখোজ হওয়ার পর মেসেজ নেয়ামতুল্লাহর

মা, আমি ভালো আছি, আল্লাহর পথে চলে গেলাম: নিঁখোজ হওয়ার পর মেসেজ নেয়ামতুল্লাহর

নিউজ ডেস্ক: গত ৩০ নভেম্বর রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার তিন দিন পর ৩ ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের মার্কাজ আল জামিয়াতুল নাফিজিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নেয়ামতুল্লাহ (১৬) তার মা কোহিনুর বেগমের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছে। সে লিখেছে ‘মা, আমি ভালো আছি। আমার জন্য কোনও চিন্তা করবা না। আমি আল্লাহর পথে চলে গেলাম।’

এরপর আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নেয়ামতুল্লাহর বাবা একই উপজেলার বাকাল গ্রামের খোরশেদ ব্যাপারী। পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, সে রাগ করে পালিয়ে গেছে।

এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার কোহিনুর বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরিশাল র‌্যাব-৮ কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বলে জানান আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।

ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নেয়ামতুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরির তদন্ত হচ্ছে। পুলিশের নজরদারিতে থাকা মসজিদগুলোতে তার যাতায়াত, নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন ও বর্তমান অবস্থান জানতে পুলিশের তৎপরতা চলছে।’

নেয়ামতুল্লাহ’র স্বজনদের দাবি, মার্কাজ আল জামিয়াতুল নাফিজিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় কওমী বিভাগে দুই বছর ধরে পড়াশুনা করছিল নেয়ামতুল্লাহ। গত ২৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে  মাদ্রাসায় যায় সে। গত ৩০ নভেম্বর জহুরের নামাজের পর মাদ্রাসা থেকে সে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নেয়ামতুল্লাহর বাবা ৩ ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ বিষয়ে নেয়ামতুল্লাহর মামা শাহাদাৎ হোসেন জানান, ‘নেয়ামতুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ করেনি সে। ফোন রিসিভের জন্য তাকে একাধিক ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়।’

শাহাদাৎ আরও জানান, গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস পাঠায় নেয়ামতুল্লাহ। রাত ১টা ২২মিনিটে এসএমএসটি পাওয়া যায়। এতে বলা হয় ‘আমি এখন ডিউটিতে আছি। পরে ফোন দেবো।’ কিন্তু পরে আর ওই নম্বর থেকে কোনও ফোন আসেনি।

এদিকে নেয়ামতুল্লাহ’র মা কোহিনুর বেগম জানান, গত সোমবার দুপুরে নেয়ামতুল্লাহ তার মুঠোফোন থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বলেছে, ‘মা ক্ষমা করো, ভালো থাকো’।  সে আরও লিখেছে ‘মা, আমি ভালো আছি। আমার জন্য কোনও চিন্তা করবা না। আমি আল্লাহর পথে চলে গেলাম।’

কোহিনুর বেগম আরও বলেন, ‘আমার ছেলে খারাপ ছিল না। বাগধা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করার সময় ফলাফল সন্তোষজনক না-হওয়ায়  বছর দু’য়েক আগে তাকে উপজেলা সদরের মার্কাজ আল জামিয়াতুল নাফিজিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করি।’

তারা জানান, উপজেলা সদরের আল আমীন মোহাম্মদীয়া জামে মসজিদের ইমাম জলিল বেপারীর  মাধ্যমে ওই মসজিদে আযান দেওয়া, নামাজ আদায় ও তাবলিগ জামাতে যোগদান করে আসছিল নেয়ামতুল্লাহ।-বাংলা ট্রিবিউন
৮ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে