নিউজ ডেস্ক: একটি পরিবারে নেমে এলো ট্রাজেডি। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন আজাদ মিয়া। কিন্তু রওয়ানা হওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি ট্রাক কেড়ে নিলো তার জীবনও।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গেছে তার তিন বছর বয়সী শিশু কন্যা মরিয়মও। গুরুতর আহত হয়েছেন আজাদের স্ত্রী শিল্পীও।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইশ মাইলের নিরিবিলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায়ে আহত হয়েছেন অটোচালকও। তবে তার আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের একটি মাটি ভর্তি ট্রাক মহাসড়কে ঘোরার সময় আটোরিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমরে মুচরে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শিশু মরিয়ম।
আজাদ মিয়ার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এই দুর্ঘটনায়। তার মগজ বের হয়ে আসে। তাকে, তার স্ত্রী এবং অটোচালককে তাদেরকে উদ্ধার করে সাভারের গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে আজাদ মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রাজধানীতে আনার পথে মৃত্যু হয় তারও।
আজাদের স্ত্রী শিল্পীকে নেয়া হয়েছে পঙ্গু হাসপাতালে। তার হাত ও পা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদুর রহমান।
নিহত আজাদের সহকর্মী আবদুল গনি জানান, আজাদ সাভারে দিনমজুরের কাজ করতেন। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ভাঙাবেড়া গ্রামে। সকালে বাড়িতেই তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর পেয়ে বাবাকে দাফন করেন আজাদ তার পরিবারকে নিয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছিলেন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদেরকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখছি। এদিকে দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনীর ট্রাকটিকে সেনানিবাসে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাটিকেও ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
১৪ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর