নিউজ ডেস্ক : জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০১৭’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি বেতার শ্রোতা, সম্প্রচারকর্মী, শিল্পী, কলা-কুশলী এবং বেতার সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
সারাবিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম-এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর শক্তি। এ বছর বেতারের মূল প্রতিপাদ্য ‘তুমিই বেতার’ খুবই প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গর্বিত উত্তরাধিকার বাংলাদেশ বেতার দেশের বৃহত্তম এবং অন্যতম শক্তিশালী গণমাধ্যম। বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ ও অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বলিষ্ঠ অবদানও সর্বজনবিদিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার সূচনালগ্ন থেকে দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। বেসরকারিখাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং জনগণকে এ কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে বেতার হচ্ছে শক্তিশালী হাতিয়ার। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ সম্পাদন করা এবং দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেতার অনন্য ভূমিকা রাখে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিটি কর্মী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নতুন প্রযুক্তি বেতারকে আরো সম্ভাবনাময় করে তুলছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব বেতার দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
১২ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস