মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:২৮:৩৭

ছাড়ছেন না সেতুমন্ত্রী

ছাড়ছেন না সেতুমন্ত্রী

ঢাকা : ছাড়ছেন না সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বরাবরই তিনি ভাড়ার বিষয়ে সতর্ক করছেন। আজ তিনি বলেছেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভাড়া বাড়িযেছে সরকার। কিন্তু এখন তারা নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করছেন। এর প্রমাণও পেয়েছি আমরা। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি মন্ত্রী স্বয়ং রাস্তায় থাকবো। তবুও ভাড়া বাড়তে দেব না। বিআরটিসিকে ঠিক করেছি, চেয়ারম্যানকে শোকজ করেছি। সেখানে বেসরকারি পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কি আইনের ঊর্ধ্বে? যারাই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, চালকরা সব সময় দোষী না। তাদের জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়টা বুঝতে হবে। তবে বাসের ভেতর যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে চালক দায়ী থাকবে। কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে মালিকপক্ষকে দায় নিতে হবে। এসময় তিনি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে মোবাইলকোর্ট অব্যাহত থাকবে বলেও জানান। মন্ত্রী বলেন, বিআরটিএ-এর চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আরো দুজন নতুন যোগদান করেছেন। এখন থেকে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করবেন। যেখানেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হবে সেখানেই ব্যবস্থা নেবেন তারা। এসময় ওবায়দুল কাদের ফিটনেসবিহীন, রুট পারমিটবিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ধরার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যানকে শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এক পরিবারের দশ গাড়ি চলে। এটা কি করে সম্ভব? যানজট বন্ধে বিআরটিএ কার্যালয়ে ও মন্ত্রণালয়ে পৃথক আলোচনা হবে। এর একটা বিহিত করতেই হবে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি সংস্থা কি করে দাবি করে বাংলাদেশে বছরে ২১ হাজারের বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দিনে মারা যায় ৭ জন। যদি ১০ জনও ধরি তাহলে বছরে ৩ হাজার ছয়শ’ এর বেশি হয় না। তাদের রিপোর্ট কোনোভাবে মানা যায় না। দুই কর্মকর্তাকে শাসালেন মন্ত্রী বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রসঙ্গক্রমে দুই কর্মকর্তাকে শাসিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। মাসুদ নামে এক কর্মকর্তার নাম ধরে মন্ত্রী বলেন, খাতির বন্ধ করো, আমি সব জানি, দালাল যেন না থাকে। আর একদিন যদি আমি ওখানে গিয়ে দালাল দেখতে পাই তাহলে কিন্তু….। জানা যায়, মাসুদ নামে ওই কর্মকর্তা ঢাকা ডিভিশনের ডেপুটি ডাইরেক্টর। একই অনুষ্ঠানে সাভারের কর্মকর্তা মহসিন আলীকেও শাসান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, আপনার ওখানে সবুজ কে? তিনিই নাকি ওই এলাকার বিআরটিএ চালান, সে আপনার কি লাগে? এসব বন্ধ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক (অপারেশন) মো. শওকত আলী, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী মোল্লা, উপ-পরিচালক(এনফোর্সম্যান) শাহনেওয়াজ আলীসহ বিআরটিএ-এর সব জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ২০ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে