নিউজ ডেস্ক: বছর পাঁচেক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ হাতে বানানো পায়েস খেয়ে ঢাকা থেকে ফিরতি বিমানে উঠেছিলেন প্রণব মুখার্জি। তখন তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রশ্ন করায় বলেছিলেন, ‘শুধু কি পায়েস?
সামনে বসে পাঁচ রকম মাছ খাওয়ালেন হাসিনা। না খেয়ে উঠতেই দিলেন না!’এই পাঁচ রকমের মাছ হচ্ছে- রুই মাছের কালিয়া, তেল কই, চিতলের পেটি, সরষে দিয়ে চুনো মাছের ঝাল আর গলদা চিংড়ির মালাইকারি।
এর আগে বহুবার প্রণব মুখার্জির বাংলোয় এসে থাকলেও, এই প্রথম রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা গ্রহণ করছেন শেখ হাসিনা। ভবনের ‘ফ্যামিলি কিচেন’-এ শুধু রাষ্ট্রপতি ও তার নিকটাত্মীয়দের রান্না হয়। সেই রান্নাঘরে তোড়জোড় শুরু হয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু কী খাওয়াবেন প্রধানমন্ত্রীকে?
ভারতের আনন্দবাজার জানিয়েছে- 'বাজারে ইলিশের মন্দা, যা আছে তাও হয় হাত-কব্জি মাপের, না-হয় ফ্রিজারে রাখা বিস্বাদ মাছ। অগত্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভেটকির পাতুরি, চিংড়ির মালাইকারি ও চিতল পেটির মুইঠ্যা বানানো হচ্ছে। শেষ পাতে অবশ্যই রাজভোগ।
পত্রিকাটি আরো জানিয়েছে- 'মোট তিন দিন রাষ্ট্রপতির আতিথ্যে কাটাবেন শেখ হাসিনা। বাইরেও (হায়দরাবাদ হাউস, বাংলাদেশ হাই কমিশন ইত্যাদি) মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশাহার রয়েছে তার। তাই বিভিন্ন পদ খাওয়ানোর সুযোগ কম। তবুও তার মধ্যেই চেষ্টার ত্রুটি হবে না বলেই জানাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের শেফরা।
রকমারি মাছের পাশাপাশি মুর্গ দরবারি, গোস্ত ইয়াখনি, রাইজিনা কোফতা, আলু বুখারার মতো উত্তর ভারতের বিশেষ আইটেমগুলিও থাকছে। সাধারণভাবে রাষ্ট্রপতি ভবনের হেঁশেলে বাইরের খাবার ঢোকা নিষিদ্ধ।
যা রান্না হয় তার বেশির ভাগ কাঁচামালই উৎপন্ন হয় ভবনের সুবিস্তীর্ণ এস্টেটে। বজ্রকঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে শুধু মাছ বা মাংস বাইরে থেকে আনা হয়। কর্মীরা জানাচ্ছেন, সে সব অর্ডার দেওয়ার কাজ আগেই সারা।'
৮ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর