নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে আজ (৫ মে)। এর মধ্যদিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মহাকাশ ও টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের শীর্ষ নেতারা তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে একটি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এতে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে এবং আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্র প্রধানরা তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজক নরেন্দ্র মোদি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাতটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান এক সঙ্গে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।’ তবে এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থাকলেও পাকিস্তান থাকছে না, বলেও জানান তিনি।
এ স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জিএসএটি-০৯’। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (আইএসআরও) এটি তৈরি করেছে। এ স্যাটেলাইট দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ঘনিষ্ঠ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্যাটেলাইটটির ওজন দুই হাজার ২৩০ কেজি। এটি নির্মাণে তিন বছর সময় লেগেছে। এই স্যাটেলাইট দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে টেলিযোগাযোগ, টেলি-মেডিসিন, টেলি-এডুকেশন এবং অন্যান্যের খাতে দ্রুত সেবা প্রদানে অবদান রাখবে। তথ্য উপাত্ত প্রদানের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি পানি সংরক্ষণ উদ্যোগ, আবহাওয়া বার্তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্ক বার্তা পাঠাতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে সার্ক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেন এবং সার্কের অন্য সাতটি দেশকে বিনা অর্থে এর সুবিধা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। ভারতের এ স্যাটেলাইট বানানোর জন্য বিজ্ঞানী এবং অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারত তাদের সহযোগিতা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে পাকিস্তান এই ইস্যুতে সরে দাঁড়ালে এটি সার্ক স্যাটেলাইটের বদলে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট হিসেবে নামকরণ করা হয়।-বাসস
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস