নিউজ ডেস্ক: উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ফেনীর সোনাগাজী উপকুলীয় এলাকায় ঘুর্নিঝড় মোরা'র মোকাবেলার প্রস্তুতির পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার উপকূলীয় সোনাগাজী উপজেলার চর এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশংকায় উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোতে তাদের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। সোনাগাজীর ৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, খাবার পানি মজুদ রাখা হয়েছে।
আকষ্মিকভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা'র কথা জানতে পারেনি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরারতে যাওয়া বরগুনার প্র্রায় আড়াই হাজার জেলে। গতকাল সোমবার দুপুরে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, হঠাৎ করে সতর্কতা সংকেত বেড়ে যাওয়ায় গভীর সমুদ্রে থাকা জেলেরা ঘূর্ণিঝড়ের খবর জানাতে পারেনি।
এ কারনে চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক ট্রলারের প্রায় আড়াই হাজার জেলের জীবন। গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরও জানান, উপকূলের কাছাকাছি থেকে যেসব জেলেরা মাঝ ধরছিল তারা অনেকেই ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল ১১টায় ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় বরগুনা জেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির এক জরুরি সভা বরগুনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির সকল সদস্য ও কমর্রত সাংবাদিকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ বশিরুল আলম জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকাসমূহে আঘাত হানতে পারে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস