নিউজ ডেস্ক : আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ, গোলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ। সকালে দ্বিতীয়বারের মতো শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তারা। এর আগে গত ১৭ মে শুল্ক গোয়েন্দায় হাজির হন তারা।
আপন জুয়েলার্সের সমস্যা সমাধানে সরকার এবং শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সুদৃষ্টি চাইলেন প্রতিষ্ঠানটি তিন মালিক।
দিলদার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে জুয়েলারির ব্যবসা আমি চালু করেছি। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে স্বর্ণের ব্যবসা করছি। আমার স্বর্ণ যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে কারও স্বর্ণ বৈধ নয়। আমার সন্তান অপরাধ করেছে, আমি তার শাস্তি চাই। এজন্য আদালত আছে। আদালত যে শাস্তি দেবে আমরা সেটা মেনে নিব।
দিলদার বলেন, ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। সব কাগজপত্র তো আর সংগ্রহ করে রাখা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অনেক পুরনো কারিগর ছিলো যারা এখন আর কাজ করেন না। সবকিছু মিলিয়ে এখন যেকোনো কাগজপত্র চাইলেই আমরা তৎক্ষণাত দেখাতে পারি না। এজন্য আমাদের সময়ের প্রয়োজন। সঙ্গে সরকারের সুদৃষ্টিও প্রয়োজন।
আপন জুয়েলার্সের অপর মালিক গুলজার আহমেদ বলেন, বাবার বয়স এখন ৭৮ বছর। নিজ হাতে এক এক করে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। কিন্তু একটি ঘটনায় আমাদের পুরো সম্মান হানি হয়েছে। আজ সকালে একজন ফোনে বললেন, ‘ভাই স্বর্ণ বানাতে দিয়েছি। কিন্তু আমার বিয়ে বন্ধ হয়ে আছে। হয় স্বর্ণ দেন, না হয় সম্পর্ক থাকতে টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দেন। এভাবে কথাগুলো বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন গুলজার আহমেদ।
অপর ভাই আজাদ আহমেদ বলেন, কোনো একদিন হয়তো আমরা পাপ করেছিলাম। তার শাস্তি এভাবে পাব তা কখনো ভাবিনি। শুল্ক গোয়েন্দা ও সরকারের সুদৃষ্টি ছাড়া কোনোভাবেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
৩০ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস