নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এবারের ঈদ-উল আযহায় ঢাকাসহ দেশের ছোট বড় সব শহরে এবং পৌর এলাকায় রাস্তাঘাটে আর পশু কোরবানি করা যাবে না। যদিও গত বছর ঢাকার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
আর অল্প কিছুদিন পরই ঈদ উল আযহা যা বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ হিসেবেই পরিচিতি। এই ঈদেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় বিধান মতে গবাদিপশু কোরবানি দিয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদের দিন প্রকাশ্যে এমনকি সড়কগুলোতে যত্রতত্র পশু জবাই দিতে ও জবাইয়ের পর বর্জ্য ফেলতে দেখা যায়।
মূলত ঈদের দিন থেকেই পরবর্তী কয়েকদিন বহু সড়কে হাঁটাচলা করাই অসহ্য হয়ে পড়ে নগরবাসীর জন্য যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা হচ্ছিলো। বুধবার ঢাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে এবার শুধু ঢাকা নয় কোন শহরেই সড়কে পশু জবাই দেয়া যাবেনা, বরং এটি করতে হবে নিজ নিজ বাড়িতে বা নির্ধারিত স্থানে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন গত দুবছর ধরে ঢাকায় রাস্তায় বন্ধ রাখা হয়েছে কারণ লোকজন গন্ধে টিকতে পারেনা।
জবাইয়ের কারণে যেসব আবর্জনা সৃষ্টি হয় সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে হবে। গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েও কার্যকর করা যায়নি এবার সম্ভব হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তারা চেষ্টা করবেন এবার রাস্তায় কোরবানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে। বিকল্প স্থান ঠিক করা হয়েছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৪৯ ও দক্ষিণে ৫৫০টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে কোরবানির জন্য। এবার সারা দেশেই এমন নির্ধারিত স্থান থাকবে কোরবানির জন্য।
কিন্তু গত বছর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সেই উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত সেরকম সাড়া মেলেনি। এবার যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে রাস্তায় পশু কোরবানি দেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, সেটি কার্যকর করা কতটা সম্ভব হবে? জবাবে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন "গতবার সেভাবে সাড়া মেলেনি।
এবার আশা করছি ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় ২ লাখ ৭৫ হাজার পশু কোরবানি হবে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থান প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। যা করা হয় তাতেও সাড়া পাইনি। কিন্তু সাড়া মিলছেনা কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পর মাংস নিজ নিজ জায়গায় নেয়ার জন্য যে পরিবহন ব্যবস্থা দরকার তা নিয়ে সংকট রয়েছে।
আবার জবাইয়ের পর মাংস ব্যবস্থাপনার একটা বিষয় থাকে যারা কোরবানি দেন তাদের জন্য। তিনি বলেন এমন অনেক বাড়ি রয়েছে যেখানে পশু কিনে রাখা এবং কোরবানি করার মতো জায়গা নেই। তাদের আহবান করছি তাদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে। অন্তত প্রধান সড়কগুলো যেনো মুক্ত থাকে সেটিই আসলে প্রধান লক্ষ্য।-বিবিসি
এমটিনিউজ২৪/এম.জে