এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আগামী নির্বাচনে পরাজিত শক্তির কেউই অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি জুনাইদ আল হাবিব।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জুনাইদ আল হাবিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে যে বিপ্লবী সরকার গঠন হয়েছে, আমরা গত ৫ মাসে তাদের মধ্যে বিপ্লবী কোনো কিছুই দেখি না।
তিনি বলেন, সরকার আরও বিপ্লবী হবে, পরাজিত শক্তির দোসর এবং তাদের সহযোগী যে যেখানেই আছে প্রত্যেককে ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্ত্বরের গণহত্যা কেও ঘোষণাপত্রে সংযোগ করতে হবে। সে কথাটা আমরা বলে এসেছি।
জুনাইদ আল হাবিব আরও বলেন, ২০২১ সালে পাখির মত গুলি করে ওলামায়ে কেরামকে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার ওলামায়ে কেরামকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর জেলখানায় বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে, সেটাও এখানে উল্লেখ থাকতে হবে।
এর আগে, এদিন বিকেল ৪টার পর ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। তখন এনিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।